প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ৭:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২১, ২:৩৪ পি.এম
রাত পোহালেই ভোট কে হবেন জয়পুরহাট পৌর পিতা
নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
সকল জল্পনাকল্পনা শেষে ও ব্যাপক প্রচারর প্রচারণার মধ্যে দিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জয়পুরহাট পৌরসভা নির্বাচন। এ কয়েকদিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন তারা, দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। মিটিং মিছিল ও পথসভাতে তুলে ধরছেন নিজেদের অবস্থান। আর এলাকার উন্নয়নে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি সাধারণ ভোটারদের। এদিকে অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, প্রথম শ্রেনীর জয়পুরহাট পৌরসভায় এবার ৫২ হাজার ২ শ ৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই ভোট অধিকারে জয়পুরহাট পৌর পিতা নির্ধারণ হবে এখন সময় কে হবেন জয়পুরহাট পৌর পিতা। সূত্রে অনুসারে এবার ভোটাররা এই প্রথম ইভিএম এর মাধ্যমে তাদের ভোট দিবেন । জয়পুরহাট পৌর নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন মোট ৫ জন মেয়র প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামছুল হক। এছাড়া আওয়ামীলীগ (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নারিকেল গাছ মার্কায় দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিন,বিএনপি (স্বতন্ত্র) জামায়াত মনোনীত জগ প্রতীকের হাসিবুল আলম ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের দেওয়ান জহুরুল ইসলাম লড়ছেন। এবং এ নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মহল্লার অলি গলি আর পৌর শহরের প্রধান সড়কের পাশ এখন ছেয়ে গেছে পোষ্টারে পোষ্টারে। আর গণসংযোগে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন কর্মী সমর্থকরা। চলেছে মিছিল মিটিং পথসভা সহ মাইকিং যা গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সকল প্রকার প্রচার প্রচারণা বন্ধ হলেও। পৌর এলাকার সর্বত্রই এখনো ভোটের আমেজ বিরাজ করছে আর ভোটারদের প্রত্যাশা অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, গত ৪০ বছরে যে উন্নয়নমুলক কাজ হয়নি, আমি গত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় পর তা ৫ বছরেই চেষ্টা করেছি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছি। তাই এ উন্নয়ন দেখে সাধারণ মানুষ দলমত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে আবারও নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ শামছুল হক বলেন, আমি ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমি মনে করি সুষ্ঠ ভোট হলে বিপুল ভোটে আমি জয়লাভ করব।
এদিকে আওয়ামীলীগ (স্বতন্ত্র) নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিন বলেন, আমি জয়ী হতে পারি না পারি সেটা বড় কথা নয়। মানুষের ভোটাধিকার যেন তারা আগামীকাল সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারে এটাই বড় কথা। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি। আর সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটের পুলিশ প্রশাসন সঠিক দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি আশা করছি। শুরু থেকেই ভোটারদের থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে পৌর এলাকার সকল প্রতিশ্রুতি সফল কবর, শ্মাশান, মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সড়ক সংস্কার করে উন্নত করব। এখানে কোন সরকারিভাবে বিনোদনমুলক পার্ক নেই। সেজন্য শরীর চর্চা ও বিনোদনের জন্য একটি পার্ক নির্মান করব।
তিনি আরও বলেন, পৌর এলাকায় বিনামুল্যে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল খোলার খুব ইচ্ছা আছে আমার। ওয়ার্ড হিউম্যানিটি কমিশনের আমি বাংলাদেশের এ্যাম্বাসেডর। নিউ ইয়র্ক হেড অফিসের প্রধানকে বিষয়টি বলেছি। আমি নির্বাচিত হতে পারলে তারা জাতিসংঘের একটি প্রকল্প আওতায় এখানে একটি হাসপাতাল করে দিবে বলে আশ্বস্ত করেছে। যেখানে সবাই বিনামুল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। এছাড়াও সন্ত্রাস ও মাদক থেকে যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনতে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার উদ্যোগসহ শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮ টা থেকে এ পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটকেন্দ্র ২২টি। আজ নির্বাচনী সকল মালামাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনীর ৪ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy