বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শনিবার দিবাগত রাত ৩টা নাগাদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এস.আই মং চাই এবং এস.আই মিল্টন (পি.পি.এম) সঙ্গীয় ফোর্সসহ এক সাড়াসি অভিযান চালিয়ে রামু উপজেলার রশিদ নগর এবং জোয়ারিয়া নালার মাঝামাঝি গুচ্ছগ্রাম ৭নং ওয়ার্ড বালুর পাহাড় নামক স্হান থেকে একজন দুধর্ষ ডাকাত দলের সদস্য সহ ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় ডাকাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় তৈরী বন্দুক উদ্ধার করা হয়।আটককৃত ডাকাতদলের একজন পূর্ব খরুলিয়ার মৃত মিয়া হোছন এর ছেলে সুলতান আহমদ (৪৮)(বর্তমানে দক্ষিন মিঠাছড়ি কাইন্দা চরপাড়া)এবং আরেকজন রশিদ নগর বড় ধলির ছড়ার মৃত হোসেন আলীর ছেলে হাবীব উল্লাহ(২৮)(বর্তমানে কারিগরি কলেজের পেছনে,বালু পাহাড়)। সুলতান আহমদ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অপহরণ,হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কয়েকটি মামলায় সে একাধিকবার জেল ও খেটেছে।সংঘবদ্ধ এ ডাকাতদল জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতিসহ অপহরণ করে লোকজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত। সম্প্রতি খুনিয়া পালং জাম বাগানের পাশে ঘটে যাওয়া একসাথে তিনঘর ডাকাতির ঘটনায় উক্ত ডাকাত সরাসরি সম্পৃক্ত আছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
এই দূর্ধ্বর্ষ ডাকাতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জেলায় সংঘটিত অমীমাংসিত বিভিন্ন ডাকাতি এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের গোপন তথ্য উদঘাটন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আবুল খায়ের বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসন ডাকাত এবং ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত জিরু টলারেন্স নীতিতে অবিচল আছি এবং থাকব।
আটকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy