রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেওয়ায় আতর আলী নামে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মচারীকে সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংসদ সচিবালয়ের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিকে নিয়ে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি’।
বিষয়টি স্বীকার করে আতর আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই বক্তব্য দেওয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেহেতু আমাকে যেতে নিষেধ করা হয়ে গেছে এজন্য আমি এখন আর সংসদ সচিবালয় যাই না। তবে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, “আপনি মোহাম্মদ আতর আলী বিগত ১৭ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন, কোনো ব্যক্তির পক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো অসত্য বক্তব্য প্রদান দেশের সংবিধান পরিপন্থী।
“যেহেতু আপনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন যা একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে অনুচিত ও যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী যা জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচারণ হিসেবে গণ্য যেহেতু আপনাকে জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মচারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০০৫ এর ৩ এর ক দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালা অধীনে যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে এ নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’’
প্রসঙ্গত, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে সংসদ নেতার দফতরে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy