সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
রক্তদানে মানবতার পাশে থাকতে পিছিয়ে নেই রায়গঞ্জের মেয়েরা। মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রতিযোগীতায় মেয়েরাও মানুষের জন্য ডাক্তারের হাতে ভালবাসার সুচের নিচে রক্ত দানে বিছিয়ে দিচ্ছে নিজের হাত। ঐ হাত সুচ দিয়ে ফুটো হলেও অন্তরে প্রশান্তির খেলা চলে। খানিক কষ্টের পর মুখে হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরা মেয়েটা আবার তৈরি হয় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। এমন অনুভুতি ও প্রেরণা দিতে ভুল করেন না ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সভাপতি ডা.মাহমুদুল হক মাহমুদ। তার হাতের সুচের নিচে কেউ পড়লে তার সাহস ও মায়াভরা কথায় অন্তত ঐ ব্যক্তি মানুষের প্রয়োজনে সামর্থনুযায়ী বার বার রক্তদানে এগিয়ে আসবে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটি এইভাবেই মানুষকে রক্তদানে তালাশ করে ডোনার। ফোন আসলেই ছুটে চলার প্রতিযোগীতায় নেমে পড়ে সকল সদস্য। কখনও নিজেরা কখনও এ বাড়ি ও বাড়ি নক করতে করতেই পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত রক্ত। এবার এ কাজে তারা যুক্ত করেছে মেয়েদের আর তারাও এগিয়ে আসছে রক্তদানে। মুসলিম সমাজে পারিবারিক ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ থাকে, এর মধ্য দিয়েই পরিবারের সম্মতি আর কর্তা ব্যক্তিদের সাথে নিয়েই তারা হাজির ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির অস্থায়ী কার্যালয় এপেক্স ক্লিনিকে। এমনই একজন ব্লাড ডোনার তামান্না ইসলাম। অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী সে উপজেলার পৌর এলাকায় তার বাড়ি। মানুষের প্রয়োজনে রক্তদানে ছুটে এসেছে সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের ডাকে। একজনের রক্তে আরেকজনের জীবন বেঁচে গেলে যে আনন্দ তা তামান্না উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই ছুটে আসে রক্তদানে। রক্ত দেবার পর তামান্নার হাতের কিঞ্চিৎ রক্ত গড়িয়ে পড়ার দাগ থাকলেও নিজের শরীরের রক্ত অন্যের শরীরে দেয়ার আনন্দ তাকে শিহরিত করে তুলেছে। কারণ এটা তার দ্বিতীয়বার রক্ত দান। o+ পজেটিভ রক্তের গ্রুপ নিয়ে এর আগেও সে এক অসহায়কে রক্ত দিয়েছে। তামান্নার মত আরও অনেকেই উপজেলার ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির কাছে নিজেদের নাম লিখিয়েছে। প্রয়োজন হলেই তারাও রক্ত দানে এগিয়ে আসবে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy