বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রূপগঞ্জ থানা কার্যালয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার দত্তেরগাঁও এলাকার আব্দুল হান্নান খাঁনের ছেলে কামরুজ্জামান খাঁন, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার মহাদেবপুর এলাকার আরিফুর রহমান পিন্টু ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার চর নবীপুর এলাকার হাজ্বী মোহাম্মদের ছেলে আলমগীর হোসেন।
বুধবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার থানার ভিটিকান্দি এলাকার এলএন্ডি ফ্যাক্টরী থেকে তামার তার (ক্যাবল) গুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৩১ আগষ্ট উপজেলার তারাব পৌরসভার খাদুন এলাকায় অবস্থিত গাজী অটো টায়ারের সহকারী বিক্রয় ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান খান ১৮’শ মিটার প্রায় ৪৩ লাখ টাকার তামার তার (ক্যাবল) প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাদের অগোচরে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখে কৌশলে ডেলিভারি দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাজী অটো টায়ারের ষ্টোর কিপার জাফর আহমেদের স্বাক্ষর নকল করে জালিয়াতির মাধ্যমে গাজী রাবার প্লানটেশনের নামে ভাউচার করে তার (ক্যাবল) গুলো গাজী অটো টায়ার থেকে বের করে নিয়ে যায়। মালামাল বের করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কামরুজ্জামান খাঁন পলাতক ছিলেন। পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় গাজী অটো টায়ারের ষ্টোর কিপার জাফর আহমেদ বাদী হয়ে কামরুজ্জামান খাঁনকে আসামী রূপগঞ্জ থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে গত বুধবার রাতে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুত্তালিবের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার থানার ভিটিকান্দির এলাকার এলএন্ডি ফ্যাক্টরী থেকে জালিয়াতি করে নিয়ে যাওয়া তার (ক্যাবল) গুলো উদ্ধার করেন। এসময় পলাতক কামরুজ্জামন খাঁন ও আরিফুর রহমান পিন্টু ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম স্যারের নির্দেশনায় আমরা ৯৫ ঘন্টার মধ্যে জালিয়াতি করে নিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ওসি (তদন্ত) জসিম উদ্দিন, ওসি (অপারেশন) মামুন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোত্তালিব প্রমূখ