সরেজমিনে দেখা যায়,নির্মাণাধীন ওই সড়কটির বেশির ভাগ অংশ খাল-খন্দ,কাঁদা মাটিতে ভরা, সড়কের কিছু অংশে খোয়া ফেললেও করা হয়নি কার্পেটিংয়ের কাজ। এটি যে নির্মাণাধীন সড়ক তা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই।
জানাযায়, ২০১৫সালে ছিটমহল বিনিময়ের সময় বড়াইবাড়ী সীমান্তের অপদখলীয় ২২৬একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মূল ভূ-খন্ডের সাথে যুক্ত হয়। সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকায় স্বাধীনতার সুখ পেলেও রাস্তাঘাট না থাকায় চরম দূভোর্গ পোহাতে হয় বঞ্চিত ছিল এষানকার বাসিন্দা। দীর্ঘ ৬৮বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত বড়াইবাড়ি সীমান্তের মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ব্রীজ ও সড়ক বাবদ ৫কোটি টাকার প্রকল্প দেয় সরকার।
The Daily surjodoy
বড়াইবাড়ি এলাকার মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন,রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ না করেই কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঠিকাদার সব টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই কিভাবে সরকারের সব টাকা তুলে নিলো তা তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের শাস্তি দাবি করেন।
কৃষক আবু শামা (৬০)বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কৃষি পণ্য পরিবহনে বেশি খরচ লাগে। অসুস্থ্য মানুষকে সময় মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় প্রায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। সরকার আমাদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিলেও তা ঠিকমত বাস্তবায়ন হয় না। কিছু লোকের কারণে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। তাই সড়কটির নিমার্ণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি করেন তিনি।
The Daily surjodoy
স্থানীয় শিল্পি সরকার বলেন, প্রায় দেড়/দু’বছর আগে মাটি-খোয়া ফেলছে রাস্তার কিছু জায়গায়। এরপর আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। কাঁচা এই রাস্তায় বর্ষা কালে চলাচল করা যায় না। অসুস্থ মানুষ নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এখানকার মানুষদের। মনে হয় আমরা এখনো ছিটবাসী আছি এমন দুর্দশায়দিন কাটছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, এখানে যোগদানের আগেই এ প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ওই প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।
The Daily surjodoy
তাই এ প্রকল্পের ৬৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার আটকে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকা ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল কবির রানার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো মোবাইল নম্বর নেই বলেও জানান উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেজবাহ আলম।
The Daily surjodoy
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা কাজটি শেষ করবো।