লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে বছরের পর বছর নষ্ট হচ্ছে দুই হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেলসহ অন্যন্য গাড়ি। মামলার আলামতসহ বিভিন্ন অপরাধে জব্দকৃত এসব যানবাহন সংরক্ষণের কোন উদ্দ্যোগ নেই! ফলে আদালতের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া নিলাম না হওয়ায় রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আইনি জটিলতার কারণে এগুলো নিলাম দেওয়ার যাচ্ছে না বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবর্জনার স্তুপের ভিতরে দেখা যায় কোনটির হেডলাইট, আবার কোনটির ব্রেক-শো, কোনটির বা বেকলাইট’- এগুলোর সবগুলোই বিভিন্ন অপরাধে জব্দকৃত আলামত ও যানবাহন। লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ অফিস, জেলার ৫টি থানা এবং পুলিশ লাইনের ভিতরে সরকারি মালখানায় জব্ধকৃত প্রায় ২ হাজার গাড়ি রয়েছে। দুই চাকার মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে প্রাইভেটকার, সিএনজিও আছে এখানে। স্থান সংকটের কারণে এসব যানবাহন খোলা আকাশের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। স্তুপে রাখা গাড়িগুলোর মধ্যে বিভিন্ন নামী-দামী ব্যান্ডের গাড়িও রয়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টি আর ধুলার আস্তরনে বোঝার উপায় নেই কোনটা সচল আর কোনটা অচল। সরকারী মালখালায় বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে থাকায় কিছু গাড়ির কাঠামো বা চ্যাসিস ছাড়া অবশিষ্ট্য নেই কিছু। স্থান সংকট ও রক্ষণাবেক্ষণ না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত। পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মামলার আলামতসহ বিভিন্ন অপরাধে জব্দকৃত প্রায় ২ হাজারেও বেশি যানবাহন আছে সরকারি মালখানায়। এদের মধ্যে তিন স্থরের মোটরসাইকেল রয়েছে। মামলার আলামত, চোরাইকৃত যানবাহন ও কাগজপত্র বিহীন যানবাহন। আইনী জটিলতার কারনে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না সে গাড়ি। তাই দিনের পর দিন এভাবে জমে গাড়ির স্তুপ। আর আইনী জটিলতার করণেও ওয়াকসন দেওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জান বলেন, জব্ধকৃত এসব গাড়ির বেশিরভাগই চোরাই। এছাড়া সঠিক কাগজ-পত্র না থাকায় দেয়া যাচ্ছেনা এসব মোটরসাইকেল। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply