1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
লন্ডনে বর্ণবাদ বিরোধী নেতা আব্দুস সালামের মৃত্যুতে দোয়া ও আলোচনা সভা
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুখবর দিলেন মেহজাবীন, বিয়ের আনন্দের সাথে যুক্ত হলো আরও আনন্দ। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে। রাবির সাবেক ভিসি আবদুস সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চট্টগ্রামে ঘটল শিশু ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর আরেক ঘটনা। এবার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে মেয়েশিশুকে ধর্ষণের। বিচারের আগে নির্বাচনের আলাপ না আনতে হুঁশিয়ারি সারজিসের পাবনায় ইউএনওর কক্ষে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্তৃক স্থানীয় জামায়াত নেতাদের মারধর করার . রাজশাহীর বাঘায় গাঁজার গাছ সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের বাজার তদারকি অভিযানে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা নারীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আটক: সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা সাভার পৌরসভা বিজয় রোড এর শুভ উদ্বোধন করেন খোরশেদ আলম

লন্ডনে বর্ণবাদ বিরোধী নেতা আব্দুস সালামের মৃত্যুতে দোয়া ও আলোচনা সভা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৬.৩৪ পিএম
  • ২২৩ বার পঠিত

লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :

পিওয়াইও (প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন)’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পুর্ব লন্ডনের পরিচিত মুখ মোহাম্মদ আব্দুস সালাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে (৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার রয়েল লন্ডন হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্নালিল্লাহিওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় পূর্ব লন্ডনের বার্কিং আল নুর মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে হেইনল্টের গার্ডেন অব পিস সেমিট্রিতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়।

মরহুম আব্দুস সালাম এর মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বন্ধুদের পক্ষ থেকে গতকাল রাতে ভার্চুয়াল দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মনোহর আলী’র সভাপতিত্বে ও রেদওয়ান খানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুম আব্দুস সালামের ছেলে মহাম্মাদ ফাজলে রাব্বী, মোহাম্মাদ ফাজলে এলাহি ও মোহাম্মাদ ফাজলে হুদা। দোয়া পরিচালনা করেন হাফিজ রশিদ আহমদ।
এরপর পর্যায়ক্রমে মরহুম সালামের দীর্ঘ সামাজিক জীবনের উপর বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রথম নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান, কমিনিটি নেতা আবদুল সালাম, শিল্পপতি ইকবাল আহমেদ ওবিই, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজন উদ্দিন জালাল, ক্যানারি ওয়ার্ফের পরিচালনা পরিষদে সিএসআর এবং কমিউনিটি ডিরেক্টর জাকির খান, সমদুল ইসলাম সমদুল, সাবেক কাউন্সিলর সুলুক আহমেদ, হারুন মিয়া, জুনায়েদ আহমেদ সুন্দর, মো: আব্দুল মুনিম জাহিদী ক্যারল, প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব করম আলী, প্রাক্তন কাউন্সিলার আব্দুস শুকুর, কনর আলী, এথনি নাইটিঙ্গেল, প্রাক্তন কাউন্সিলার দরস উল্লাহ, প্রাক্তন কাউন্সিলার শায়েদ আলি, প্রাক্তন কাউন্সিলার রফিক উল্লাহ, ইয়ং মুসলিম অর্গেজানাইজেশন এর প্রথম প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন, আব্দুল কাদির, গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের সাউথ ইস্ট রিজন এর জয়েন্ট ট্রেজারার মো: আবুল মিয়া, কবি ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, রাজু, আমিনুল চান, রুনু মিয়া, মুহিবুর রহমান, শফিক শিদ্দিকি প্রমুখ। সভায় শতাধিক শুভাকাঙ্ক্ষী অংশ নিয়ে মরহুম মোঃ আবদুস সালামের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভার্চুয়াল দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মরহুম আব্দুস সালাম ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ, শক্তিশালী উদ্যমী এবংনিবেদিত প্রচারক এবং সক্রিয় অগ্রগামী নেতা। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট ফ্রেন্ড সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, (ইউনাইটেড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, (১৯৭৩) এবং পরবর্তীতে প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (১৯৭৯) বাংলাদেশ যুব সংগঠন ফেডারেশন এবং মাতৃভাষা অধ্যয়ন সমর্থন। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি পূর্ব লন্ডনের বর্ণবাদ আন্দোলন, আবাসন, স্বাস্থ্য, চাকরি এবং সমান সুযোগের বিরুদ্ধে সকল আন্দলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।
তিনি তৎকালীন বর্ণবাদী এনএফের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন এবং এই আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের জানবাজি রেখে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি বাঙালী কমিউনিটির অন্যতম গৌরব ছিলেন। বর্ণবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে “১৯৭৮ সালের ব্রিক লেনের যুদ্ধ” এর সফল সৈনিক ছিলেন।
তিনি ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে প্রগতিশীল যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভুমিকা রাখেন এবং বাংলাদেশ যুব সংগঠন ফেডারেশন-এফবিওয়াইওতে যোগদান করেন। তিনি পূর্ব লন্ডনের বঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে বাংলাদেশী সম্প্রদায়এবং অন্যদের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, মরহুম আব্দুস সালাম লন্ডনের জনপ্রিয় সমাজসেবক ৭০ দশকের বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য যারা লড়াই করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম, প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ অরগানাইজেশান এর চেয়ারম্যান মরহুম সালাম টাওয়ার হ্যামলেটস ল’ সেন্টারের সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া গহরপূর এসোসিয়েশন ইউ কে এর সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও স্ত্রী এবং অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।মরহুম আব্দুস ছালাম জীবনকালে বর্নবাদীদের বিরুদ্ধে সামনের কাতারে ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সৎ সাহসী সদালাপী মানুষ ছিলেন। বালাগন্জ ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাস্ট, গহরপূর মাদ্রাসা উন্নয়ন ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য, আজীবন দাতা সদস্যনর্থইস্ট বালাগন্জ (গহরপূর) ও আরো অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কখনও নিজের পদ বা কর্মকাণ্ডকে প্রকাশ করা পছন্দ করতেন না। আব্দুস সালাম সব সময় ভালো কাজের জন্য সবাইকেউৎসহিত করতেন।
তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসের একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। দীঘ’দিন কমিউনিটির জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বর্নবাদীদের প্রতিহত করতে বিগত দিনে অত্যন্ত সাহসী ভুমিকা রেখেছেন। সারাজীবন লেবার পার্টি’তে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। একজন সহজ সরল, নীতিবান, ধর্মভীরু ও পরোপকারী মানুষ ছিলেন।
মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সাউথ আফ্রিকার মসজিদ বিহীন অঞ্চলে একটি মসজিদ স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছেন, এব্যাপারের সবার সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews