জমির উদ্দিন সুমন লন্ডন থেকে; লন্ডনে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধের মাত্রা। সাম্প্রতিক সময়ে এই অপরাধের মাত্রা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, সব সময়ই আতঙ্কের মাঝে থাকতে হচ্ছে লন্ডনবাসীকে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই উঠতি বয়সের তরুণ। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও গেল কয়েক মাসে প্রকাশ্যে ছুরি হামলায় কয়েকটি হত্যার ঘটনায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরাও। লন্ডনে ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধ লন্ডনে নাইফ ক্রাইম নামে পরিচিত। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নাইফ ক্রাইমের শিকার হয়ে লন্ডনে প্রাণ গেছে ৮৮ জনের। সবশেষ,গত ২ জুন রোববার দুপর ১টার সময় নর্থ-ওয়েস্ট লন্ডনের একটি পার্ক থেকে দুই নারীর মৃতদেহ
উদ্ধার করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।এই মরদেহগুলো ব্রেন্টের ফ্রায়েন্ট কান্ট্রি পার্কে পাওয়া গেছে এবং তাদেরকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। গত২ ১জুন শনিবার সন্ধ্যা রিডিংয়ে ছুরিকাঘাতে একটি সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন মারা গেছেন এবং আরো ৩ জন গুরুতর আহত হন।ঘটনায় রিডিংয়ে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত০৫ জুলাই শনিবার প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুপুর তিনটার পর ইসলিংটনের রোমান ওয়েতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গত ২৬জুলাই রবিবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে দুই কিশোর গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।বিশেষ করে পূর্ব লন্ডন দক্ষিণ লন্ডনের এর মাত্রা বেশি। বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে গ্যাং ক্রাইমের রোষাণলে পরে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে খুন হয় বেশ কয়েকজন।এসব ঘটনার পর আতঙ্ক বেড়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। লন্ডনে পুলিশের সংখ্যা কমানোর ফলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে অপরাধ, পাশাপাশি অপরাধীরা বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ায় কম সাজা পাচ্ছে – যা নাইফ ক্রাইম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরা। লন্ডন নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, লন্ডনে পারিবারিক এবং
ব্যক্তিগত নানান সমস্যা বাড়ার ফলে তরুণরা এ ধরণের অপরাধের দিকে পা বাড়াচ্ছে বেশি। নাইফ ক্রাইম রোধে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। নিরাপদ লন্ডন গড়ার লক্ষ্যে প্রশাসনকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
সহিংস খুনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিপদজনক শহর হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে লন্ডন।বহুজাতিক সম্প্রদায়ের শহর লন্ডন। তবে, ছুরি দিয়ে সংঘটিত অপরাধের কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই শহরটি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর নাইফ ক্রাইম বেড়েছে ৮ শতাংশ। পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকলেও ক্রমশই আতঙ্ক বাড়ছে লন্ডনবাসীর মাঝে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy