রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটে লাইসেন্স বিহীন করাত কলে সয়লাব। নেই কোন সরকারি অনুমতি কিংবা লাইসেন্স। মোগলহাট সীমান্ত ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেঁষা অবৈধ করাত কলের কারণে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত। দেখছেন না কেউ।
পরিবশ অধিদপ্তর কিংবা বন বিভাগের অনুমতি নেই। নেই কোন সরকারি লাইসেন্স। অনুমতি ছাড়াই দিন-রাত লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্ত ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেঁষা আবেদ আলীর অবৈধ করাত কলের (স’মিল) কার্যক্রম চলছে। মামলা, অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ এ সব করাত কল।
জানা গেছে, ভারতীয় আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে ৫ কিঃ মিঃ এর মধ্যে আবাসিক এলাকা, সড়কের পাশে, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নদী, জনসমাগম বাজার এলাকায় করাত কল (স’মিল) স্থাপন করা যাবে না। এমন কি সকাল ৬ টার থেকে সন্ধ্যা ৬ টার পরে স্ব-মিল চালানো যাবে না। পরিবেশ ও বন বিভাগের এসব নিয়মনীতির একটিও মানেনি আবেদ আলী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় আন্তর্জাতিক সীমানার ৩ কিঃ মিঃ মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট-টু-লালমনিহাট সড়ক সংলগ্ন মোগলহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে চালাচ্ছেন অবৈধ করাত কল (স’মিল)।
পরিবেশ ও বন বিভাগের নিয়ম না মানায় আবেদ আলীর করাত কলের মেলেনি সরকারি অনুমতি কিংবা লাইসেন্স। সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে অনুমতি ছাড়ায় বছরের পর বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পাশেই দিনরাত নির্বিচারে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ফাঁরা হচ্ছে চোরাই গাছও।
সারাদেশে জরুরী অবস্থার সময় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অবৈধ করাত কল বন্ধ করে দিয়ে মামলাও দিয়েছিল আবেদ আলীর নামে। তাছাড়াও লালমনিরহাট বন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হলেও রহস্য জনক কারণে বন্ধ হয়নি আবেদ আলীর অবৈধ করাত কলের কার্যক্রম। ফলে মোগলহাটবাসী চিকিৎসা সেবা মারাত্নকভাবে ব্যাহত সহ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
এলাকাবাসী ও মোগলহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক জানান, সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধ করাত কলটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা করাত কলের সামনে মোগলহাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র পাকা সড়ক ও রেললাইনের উপরে বড় বড় গাছের গোড়া রাখা হয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পথচারীসহ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে। মাঝে মাঝে গভীর রাত পর্যন্ত চালানো করাত কলের বিকট শব্দে আবাসিক এলাকার মানুষ রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারছে না।
করাত কলের মালিক আবেদ আলী বলেন, কাগজপত্র নেই। তাতে কি হয়েছে। আমি কাউকে না কাউকে ম্যানেছ করে করাত কল (স'মিল) চালাচ্ছি। যাদের বলা দরকার, তারা কিছুই বলে না। আপনারা লেখে কি করবেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বন বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, মোগলহাট সীমান্তে ওই অবৈধ করাত কলে ইতিপূর্বেও অভিযান চালানো হয়েছিল। সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছিল। তবু বন্ধ হয়নি তাদের কার্যক্রম। আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলছি, দ্রুত মোবাইল কোর্ট করে অবৈধ মিল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy