লালমনিরহাট সদর প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলীর (৪২) বাড়িতে মাটির নীচ থেকে প্রায় লাখ টাকার সরকারি ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে লালমনিরহাট শহরের ওয়ারলেস কলোনির টাউনফার্মেসির মালিক সারাফাত আলীর বাড়ি থেকে এসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে শহরের পুরান বাজার এলাকার সারাফাত আলীর টাউন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ওষুধসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সারাফাত আলী লালমনিরহাট শহরের ওয়ারলেস কলোনির শমসের আলীর ছেলে। পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে সাড়ে ৬ লাখ টাকার সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ শহরের ড্রাইভার পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক রেজা ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সারাফাত আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান মিজান বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত স্টোরকিপার একেএম মাহবুব আলম, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার জাকারিয়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোরকিপার মোয়াজ্জেম হোসেন মুরাদ, ফার্মেসি মালিক সারাফাত আলী এবং গ্রেফতার দম্পতি ও তার ভাইসহ মোট ৭ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এরপর গ্রেফতারকৃত ফার্মেসি মালিক সারাফাত আলীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাড়িতে একটি গর্ত থেকে ২ বস্তা সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ। ২টি বস্তায় ৭ পদের ওষুধ ও ৪শ পিস স্যালাইন সেট রয়েছে। যার দাম ১ লাখ টাকা। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত ৩ স্টোরকিপারকে গ্রেফতারের অনুমতি চেয়ে আমার কাছে একটি পত্র এসেছে। তবে এ মামলায় গ্রেফতারের অনুমতি চাইলেই যে তা দিতে হবে এমন নয়। আর বাইরে উদ্ধার করা ওষুধের জন্য সরকারি কর্মকর্তার নামে মামলা দেয়া যৌক্তিক বলে আমি মনে করি না।