লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস তালাবদ্ধ থাকায় বেতন বোনাস তুলতে পারেছে না সরকারী বেতনভুক্ত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনভর অফিসে তালা ঝূলতে দেখা যায়। ফলে অনেক সেবা গ্রহীতা সেবা না নিয়ে ফিরে যান।
করোনা সংক্রামণ রোধে সরকারীভাবে সারা দেশে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলমান ছিল। লকডাউনের সময় সরকারী কোষাগার ঠিক রাখতে হিসাব রক্ষণ অফিসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ন সরকারী অফিসে সীমিত জনবলে খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করে সরকার।
তবে ব্যত্যয় ঘটে শুধু আদিতমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে। বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই) দিনভর তালাবদ্ধ ছিল সরকারের গুরুত্বপুর্ন এ দফতরটি।
এতেই শেষ নয়, সরকারী সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহাজাহান আলী ঈদ করতে ইতোমধ্যে নিজ বাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। যা তিনি এ প্রতিবেদকের নিকট স্বীকার করেছেন।
উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা(তহশিদার) এরশাদুল আলম বাবু বলেন, ভার্চুয়ালী অফিসে বেশ কিছু কর্মচারীর বেতন হলেও আমার মত অনেকের হার্ডকপি(কাগজে) প্রয়োজন হয়।
আদিতমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অফিস করে ঈদ করতে বাড়ি(ঢাকা) যাচ্ছি। চাকুরী করি পরিবারের জন্য।পরিবারের সাথে ঈদ করতে না পারলে সে চাকুরী করে লাভ কি?। যারা বেতন পায়নি, তারা অনলাইনে কাগজ প্রদান করলে ব্যবস্থা করা হবে।
রংপুর বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা তারেক বলেন, করোনা সংক্রমন রোধে সরকারী সকল ছুটি বাতিল ও কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা রয়েছে।