আব্দুল্লাহ আল মামুন:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কৃষি অফিসে সরকারি বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য জানতে চেয়ে সাংবাদিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের কৃষি মেলা, কন্দোল প্রকল্প, প্রণোদনা,আর্থিক সহায়তা কর্মসূচিসহ অন্যান্য প্রকল্পের তথ্য দিতে কালক্ষেপণ করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন সরকারের বরাদ্দকৃত প্রকল্পে অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেন।কিছুদিন আগে কৃষকদের মানববন্ধনে প্রকল্পের দুর্নীতি আরো সুস্পষ্ট হয়েছে। সাংবাদিকরা তথ্য চাইতে গেলে ফারজানা আক্তার তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকছেন এবং “দেব দিচ্ছি” বলে সময়ক্ষেপণ করছেন।
আরো কৃষক দাবি করে বলেন,সরকারের মেলা প্রকল্প দেয় তা ঠিক মত হয়না বাপু। কারাকারা পায় তাও জানিনা। শুনি যে সরকার মেলা কিছু দেয় কৃষকের জন্যি।
উল্লেখ্য, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যেকোনো সরকারি প্রকল্পের তথ্য জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা কয়েকবার মৌখিক ভাবে তথ্য চাইলে তিনি তা দেন নাই। এরপর তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করার পরও ওই অফিসের কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার সহ কেউ আবেদন ফরমটি জমা নেন নাই। তাহলে কি ওই দপ্তরকে কি তথ্য দিবেনা এমন কোন নির্দেশ উদ্ধোতন মহল দিয়েছেন কিনা বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে চাই।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, বরং তথ্য প্রদান করে প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে তা নিশ্চিত করাই দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
এঘটনায় নড়াইল জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো, জসিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি নতুন আসছি কিছু বলতে পারবো না আপনারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।