ইমাম হোসেন জীবন,
শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া আমাদের দেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে শক্ত বিরোধী দলের সমালোচনা ছাড়া আমাদের দল (আওয়ামী লীগ) ও দলের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারী হয়ে যাবে।
রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ভবনের নিজ অফিস কক্ষে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের মির্জা বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বিরোধী দলের। কার্যকরী বিরোধী দল থাকলে আওয়ামী অপরাজনীতির হোতারা সারা দেশে অন্যায়, দুর্নীতি, অনিয়ম করতে পারত না।
তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার ও ঈর্ষণীয় জনসমর্থন দেখে পরাজিত বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত এক হয়ে এখন এক দফার আন্দোলনের কথা বলছে। এ এক দফার আন্দোলন মানে, তারা শেখ হাসিনার পতন চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কার নেতৃত্বে- খালেদা অসুস্থ, ছেলে তারেক বিদেশে আরাম-আয়েশে আছে। সৎসাহস থাকলে দেশে এসে কারাগারে যাক। মির্জা ফখরুল, রিজভী, প্রিন্স আন্দোলন সফল করবে? এরা আবারও ২০১৪ স্টাইলে একজোট হয়ে সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এবং একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
কাদের মির্জা আবারও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, এখানে পুলিশের আচরণ আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারছি না। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (কাদের মির্জা স্বঘোষিত কমিটির) সাহাদাত হোসেন সজল একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যায়। নোয়াখালীর কুলাঙ্গার এসপি, ডিবি পুলিশের কুলাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হককে দিয়ে আমার কর্মী সজলকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন এমন পর্যায়ে করেছে, সে এখন দাঁড়াতেও পারছে না। সেতুমন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) ভাগনে কুলাঙ্গার রাহাত এসপি ও ডিবি পুলিশকে টাকা দিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সজলকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের জামায়াত সমর্থক হাজার কোটি টাকার মালিক হানিফ আমেরিকানের বাড়িতে বসে দাওয়াত খেয়ে টাকার লোভে কুলাঙ্গার এসপি আমাকে কোণঠাসা কারার এবং হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। রোববার আবার রাত পোহানোর আগেই সে কুলাঙ্গার এসপি কোম্পানীগঞ্জ থানায় এসে হাজির হয়েছে। আবার কি পরিকল্পনা করে গেছে তা আমি জানি না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে কুখ্যাত রাহাত, সোনাগাজীর ভুট্টো চেয়ারম্যান ও ফজলু একসঙ্গে তাদের ছবি। রাহাত সেখানে গেছে অস্ত্র আনার জন্য। নোয়াখালী জেলা ও কেন্দ্রের কয়েক নেতার ইশারা-ইঙ্গিতে এগুলো হচ্ছে। এমপি একরামকে পদ থেকে সরালেও নোয়াখালীতে তার সব সেটিং ঠিক রেখে অপশক্তিদের অপকর্ম চলছে।
কাদের মির্জা তার সমালোচনাকারীদের বলেন, আমার সমালোচনা করুন, অসুবিধা নেই। বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, আল্লাহর আদালতে একদিন হাজির হয়ে এসবের জবাব দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy