গাজীপুর সুজন সারোয়ার,গাজীপুর :
স্বাধীনতার পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, ভাওয়াল বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র এর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকাল থেকে টঙ্গী ও তার নিজ গ্রাম গাজীপুরের পূবাইল হায়দরাবাদে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শোক পতাকা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় নেতাকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ তার নিজ গ্রাম গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ মাঠে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী এড. আজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম.এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘আমার বাবার খুনিদের বিচার চাই। যারা আমার বাবাকে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আমাকে পিতৃহারা করল, তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (গাজীপুর-২ গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রæত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।