বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামের বামনদিঘী পাড়ার ইমদাদুল (৩৩), কামরুজ্জামান (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩৮),  এবং  বাদল প্রামানিকের(৩৬) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য থানায় গন স্বাক্ষরিত অভিযোগ দিয়েছেন শতাধিক গ্ৰামবাসী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চুরি, জুয়া, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল সহ গ্রামের নিরীহ মানুষকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বুধবার দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে অভিযোগ দিতে ওই গ্রামের বিভিন্ন বয়সের অন্তত ২০/২৫ জন লোক থানায় আসেন। অভিযোগপত্রে ওই গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১২ জন নারী-পুরুষ স্বাক্ষর করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলকোট গ্রামের বামনদিঘী পাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে ইমদাদুল হক। বিগত পাঁচ বছর পূর্বে ইমদাদুল ফুলকোট গ্রামের মৃত আলহাজ্ব দিলবর রহমানের ০৩-০৪ বিঘা জমি বহিরাগত ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে জোরপূর্বক ভোগ দখল করে। ফুলকোট গ্ৰামের বামনদিঘী পাড়ায় বাটকামারি নামক একটি বাৎসরিক মেলা হয়।

এবার করোনার কারণে মেলা নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে এসে জোরপূর্বক মেলা বসিয়ে মেলায় আসা দোকান থেকে ইচ্ছামতো চাঁদা তুলে নিজেরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। ফুলকোট গ্রামের বামনদিঘী পাড়ার মৃত্যু আব্দুল বাকির ছেলে  কামরুজ্জামান (৩৫) ও  নজরুল ইসলাম (৩৮) এরা দুজন হলো

ইমদাদুলের  আপন খালাতো ভাই। কামরুজ্জামান শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদে মাষ্টাররোলে পিয়নপদে  চাকুরী করার সুবাদে এলাকার নিরীহ জনগণকে মানুষ বলে গণ্যই করে না। এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিরীহ মানুষকে মারধর করা সহ নানান অপরাধে জড়িত সে।

কামরুলের আপন বড় ভাই নজরুল ইসলাম একজন চিহ্নিত গরু চোর , এছাড়া এলাকার শ্যালো মেশিন চুরি, সাইকেল চুরি সহ অন্যান্য চুরির সাথে জড়িত যা এলাকার সবাই অবগত।

শুধু তাই নয়,পার্শ্ববর্তী গ্রামের নিরীহ মানুষকে অন্যর জমি নিজের বলে পত্তন দিয়ে তাদের কাছ থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে এই নজরুল। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষগুলি টাকা ফেরত চাইতে আসলে কামরুজ্জামান উপজেলায় চাকরি করে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

ফুলকোট বামনদিঘী পাড়ার বদিউজ্জামান বাচ্চুর ছেলে বাদল প্রাং (৩৬) সম্পর্কে ইমদাদুলের বোন জামাই। ইমদাদুলের ছত্রছায়ায় বাদল এলাকায় যাকে তাকে মারধর করা সহ নিজ বাড়িতে জুয়া বসিয়ে অর্থ রোজগার এবং তার স্ত্রী  আসমা খাতুন কে দিয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানিমূলক ও নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ।

উল্লেখ্য যে, ইমদাদুলের আপন চাচা মতিউর রহমান (বাবু) গত ০৩ জুলাই ফুলকোট বামনদিঘী পাড়ার বকুলের স্ত্রী হোসনেআরাকে দিনদুপুরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। হোসনেআরা আইনের আশ্রয় নিলে পুলিশ মতিউর রহমান বাবুকে  গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এই ঘটনার জের ধরে এই সন্ত্রাসীরা গত ১৩ আগষ্ট শুএবার  দেশীয় তৈরী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হোসনেআরার  মেয়ে ও আত্নীয় স্বজন সহ সকলের উপর হামলা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্সপেক্টর তদন্ত নান্নু খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তদন্ত চলছে।