শোকবহ মাস জুড়ে ৪ খুনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিল আগষ্ট। যশোরের শার্শা উপজেলায় আগষ্ট মাসে চার খুন সংঘটিত হয়েছে। এসব খুনের
কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়. নারী সংঘটিত. পরকীয়া.প্রতিহিংসা মূলক ব্যক্তিগত আক্রোশ ও শক্রুতা মূলক।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়. আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে উপজেলার জিরানগাছায় বড় ভাইভাবী মিলে রাতের আধারে সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে. ছোট ভাই জসীম উদ্দিন (৩২)কে স্বাষরোধ করে হত্যা করে. পরেরদিন অসুস্থার জন্য মৃত্যু হয়েছে বলে খবর প্রচার করে. ইউ পি সদস্যের সাথে দেনদরবার করে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মাঝে মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে. শার্শা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয় এবং বড় ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।
বেনাপোল রেল ষ্টেশনের পাশে দূর্বৃত্তরা গভীর রাতে অজ্ঞাত এক যুবক (৪০)কে ছুড়িকাঘাত করে খুন করে রেখে যায়। পুলিশ এখনো খুনের কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
নাভারনের পাশ্ববর্তী কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে ইস্রাফিল হোসেন (৩৭)কে মাদক ব্যবসার টাকার ভাগ বাটোয়ারি ও পরকীয়ার কারণে দু বন্ধু ও প্রেমিকা মিলে হত্যা করে গ্রামের এক নির্জন জঙ্গলে পুতে রাখে।
নিহতের পরিবার অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ও ডিবির অনুসন্ধানে নামে। সন্দেহ ভাজন ৩ জনকে আটক করলে.তাদের স্বীকারোক্তিতে মাটির নিচ থেকে নিহত ইস্রাফিলকে উদ্ধার করা হয়।
নাভারনের কাজিরবেড় সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এক এন জি ও কর্মি.তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলাম (৩২)নামে এক যুবক. মোটরসাইকেলের নিচে ফেলে বাইক সহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
পরের দিন প্রচার করা হয় মোটরসাইকেল চুরি করতে এসে মোটরসাইকেলের পেট্রোল গায়ে লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।এক মাসের ব্যবধানে চার ৪টি হত্যা কান্ড সংঘটিত হলেও. কোন হত্যাকান্ডের সুস্থ্য তদন্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে ঘটনা বহুল আগষ্ট মাস। এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের তদন্ত পূর্বক শাস্তি না হওয়া ও জামিনে মুক্ত হওয়ায়.তারা আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে
. হত্যাকাণ্ড সহ সামাজিক অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে দোর্দান্ত দাপটের সাথে। ফলে সমাজে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধের প্রবনতা ও আইন শৃংখলার চরম অবনতি।