বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় এক সন্তানের জননী লাবনী (২০) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে উপজেলার বাগআঁচড়া হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর লাবনীর স্বামী ইমামুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
জানাগেছে,গত পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিন নগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম(শফি)র ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ঘর আলো করে আসে একটি পুত্র সন্তান।প্রথমে সংসার জীবন ভালো কাটলেও বাঁধ সাধে স্বামীর পরকীয়া।
গতকাল রাতে স্বামীর ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পাই লাবনী।আর এটায় হয় তার জীবনের কাল।স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে পেটাতে পেটাতে হত্যা করে তার পাষান্ড স্বামী।
পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে ও নিয়ে যাই স্বামী এবং এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।পুলিশ আসার আগে ইমামুলের পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তার কোনো প্রত্যক্ষ ভাবে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নিহত লাবনীর ভাই সোহেল জানান, যৌতুকের টাকার জন্য ইমামুল প্রায় আমার বোনকে মারধর করতো। আমরা অনেক বার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি। পরকীয়াসহ বিভিন্ন ভাবে সে সেই টাকা খরচ করে ফেলতো।এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারধোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো।
সাতমাইল এলাকার স্থানীয় মোবারক সরদারের ছেলে এরশাদ আলী চৌধুরী কথায় মিমাংসার মাধ্যামে আমার বোনকে আবার পাঠিয়ে ছিলাম শ্বশুরবাড়ীতে।গতকাল আমার বোন তার পরকীয়া ধরে ফেলায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পাষান্ড ইমামুল। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফরিদ ভুইয়া জানায়,খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। লাবনীর গলায় একটি দাগ আছে বলেন তিনি জানান। শার্শা থানার ওসি (তদন্ত) বদরুল আলম খান জানান,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।লাশের গলার একটি দাগ দেখতে পেয়েছি।
তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।