প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ১২:১৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৩০, ২০২০, ৭:৩৪ পি.এম
শার্শায় শীতের পোশাক কিনতে দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতিতে এখনো শীতের প্রভাব পড়েনি। তবুও শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। সকাল সন্ধ্যা শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করেছে শীতের সাথে সাথে চলমান কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) আক্রান্তের হারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চলছে অগ্রহায়ন মাস, এরই মধ্যে সারাদেশের ন্যায় যশোরের শার্শা উপজেলা জুড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর এই শীত নিবারনের জন্য সাধারন মানুষ ছুটছেন গরম পোশাক কেনার জন্য মার্কেটের ও ফুটপাত দোকানে। আর এ কারনেই সাধারন ক্রেতারা উপজেলার বড় ৩টি বাজার বেনাপোল.নাভারন.বাগআচড়া সহ গ্রামগঞ্জে ছোট বড় বাজারগুলোতে ও ফুটপাতে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শীতের পোষাক কিনতে।
সোমবার (৩০নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত এই দোকান গুলোতে চলে বেচা-কেনার ধুম।
ব্যবসায়ীরা বলেন.প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই আমাদের বিক্রয়ের অবস্থা একটু উন্নতি হয়. তাই সেই আশায় এবছরেও একটু বেশী লাভের জন্য শীতের পোষাক আমদানি করেছি। বাজারের দোকান গুলোতে নিম্মবিত্ত থেকে শুরু করে উচচ পর্যায়ে পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভীড় করেন বলে জানা যায়। কারণ মৌসুমের শুরুতেই শীত পড়তে শুরু করায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় হচ্ছে মার্কেট ও ফুটপাতের এই দোকান গুলোতে। গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়তে থাকায় প্রচন্ড শীত থেকে মানুষ একটু গরম অনুভব করার লক্ষ্যে আগে থেকেই ভীড় জমাচ্ছে বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান পর্যন্ত।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে মার্কেটের ও ফুটপাতের নতুন ও পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিগত বছরগুলোতে পৌষ মাস থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হলেও এবার আগে থেকেই রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। এ বছর পোশাক যথেষ্ট সস্তা এবং বেশ শীত নিবারন দায়ক বলে অনেকের ধারণা। পোশাকের ক্যাটাগড়ি অনুপাতে সর্বনিম্ম ৪০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। পুরাতন শীত বস্ত্র বিক্রেতারা বলেন, পোশাকের (বেইল) গাঁইট ক্রয়ে ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। মুখবন্ধ এসব (বেইল) গাঁইট কেনার আগে খুলে দেখার নিয়ম নেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতি (বেইল) গাঁইট ক্রয় করে আনা হয় ৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। কিনে আনার পরে খুলে নির্ধারণ করা হয় লাভ-লোকসানের হিসাব। পোশাকগুলো (বেইল) গাঁইট থেকে বের করার পর দাম হাঁকেন বিক্রেতারা। কোন প্রকার পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। গাঁইট থেকে বেরিয়ে আসা দেশী বিদেশী পুরনো পোশাকটি ক্রেতার খুব পছন্দ হয়ে গেলে তা বুঝতে পেরে সে অনুযায়ী দাম হাঁকা হয়। ক্রেতাদের কাবু করতে পারলে টাকার পরিমান বেড়ে যায়। এসব দোকানের বিক্রেতারা পোশাকের দাম নির্ধারন করেন। তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy