রেখা আহমেদ ,নিজস্ব প্রতিবেদক
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া জামাই এমদাদুল ইসলাম ওরফে এনদা (৩৫) কে ৫৩ দিন পর গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। এ ঘটনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন শ্বশুর।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪ টায় উপজেলার বড়খাতা বাজারের হাজী মসজিদ এলাকা থেকে তাকে যৌথভাবে গ্রেফতার হাতীবান্ধা থানা ও ডিমলা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, দেড় বছর আগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে নাজনী বেগমকে বিয়ে করেন এমদাদুল ইসলাম এনদা। নাজনী বেগমকে বিয়ের পর থেকে জামাই-শাশুড়ির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন শাশুড়ি।এ সময় স্ত্রীকে ছেড়ে শাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন জামাই এমদাদুল। মায়ের সঙ্গে এমন সম্পর্ক দেখে প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতো নাজনী বেগমের। কয়েক দিন আগে নিজ বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে মায়ের মেলামেশা দেখে ফেলেন নাজনী।এজন্য সাতদিন ঘরে আটকে রেখে তাকে মারধর করেন স্বামী এমদাদুল। পরে নাজনী বেগম রাতে দরজা ভেঙে খালার বাড়ি উপজেলা হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় পালিয়ে এসে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
অভিযুক্ত জামাই এমদাদুল ইসলাম ওরফে এনদা (৩৫) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে তরিফ উদ্দিনের ছেলে। গত ২১ জানুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান। সে বড়খাতা বাজারের হাজী জামে মসজিদ এলাকার অটোরিকশার পার্স ব্যবসায়ী।
শ্বশুর নাছির উদ্দিন (৫০) বলেন, স্ত্রীকে ফিরে পেতে জামাইয়ের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে জামাই এমদাদুল ইসলামকে আসামী করে একটি অপহরন মামলা করি। আজ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জেনেছি।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহযোগিতার অপহরন মামলার আসামী এমদাদুল ইসলামকে আটক করি। তিনি আরও জানান,তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় নীলফামারী আদালতে মামলা হয়েছে তাই আসামীকে ডিমলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।