তৌহিদ আহমেদ রেজা: একাদশ শ্রেনীতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে নানা প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছেন উত্তরা আইডিয়ার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এস এম এইচ রশীদ বাবু। শিক্ষার মানহীন এই কলেজটিতে প্রতি বছরই শিক্ষার্থীদের নানা কৌশলে প্রলুব্ধ করে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি করা হয়। ব্যানারে কক্সবাজারে বিনা খরচে নবীনবরনের বড় করে লেখা ছাপিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করেন। সরকারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির কয়েকমাস আগ থেকেই শিক্ষানীতি অমান্য করে ভর্তি মার্কেটিংয়ের লোক দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র ও অভিবাবকদের নানা মিথ্যা আশ্বাষ দিয়ে প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে নিজেরাই অনলাইনে আবেদন করেন। আবার অনলাইন আবেদনে শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর না ব্যবহার করে নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহারের অভিযোগও পাওয়া যায়।
জানা যায়, অযোগ্যদের শিক্ষক বানিয়ে বাসাবাড়িতে পাঠিয়ে কৌশলে ছাত্রছাত্রীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি করানোই বাবুর লক্ষ্য। মানহীন শিক্ষা, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষার নামে ফি, খাতা-কলম বিক্রি , ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়াই কলেজটির প্রধান কাজ। যাহা প্রতি বছর এইচ এসসির ফলাফল দেখেই প্রমান হয় শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছে কলেজটির কর্তৃপক্ষ। চার নং সেক্টরে কলেজটির একটি গালস ক্যাম্পাস রয়েছে যেটা সম্পুর্ন ভাবে অবৈধ। এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে আশপাশের মানুষের। এই ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায় এখানে কোন পড়া লেখার পরিবেশ নেই। অথচ এই ভুতরে বাড়িটিতে ৩০/৪০ জন ছাত্রীর ক্লাশ নেন বলে জানান কলেজটির প্রধান কর্তৃপক্ষ।
সুত্রে জনা যায়, উত্তরা আইডিয়াল কলেজে চাত্র/ ছাত্রী ভর্তি কারা উদ্দেশ্যে কিছু স্কুলের শিক্ষকদের ১% মালীকান শেয়ার দেয়ার আশ্বাষ দিয়ে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির টার্গেট দেন পরিচালক বাবু যাহা শিক্ষা আইনের পরিপন্থি। ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির টার্গেট পুরন করেতে না পারায় এ যাবত কেউই কোন শেয়ার বা মালীকানা পাননি। বাবু নিজেও জানেন এমন কলেজে কেউ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতেে পারবেনা, কৌশলে কিছু ছাত্র/ছাত্রী পাওয়াই তার উদ্দেশ্য।
এসব বিষয়ে সাক্ষাতকারে উত্তরা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এস এম এইচ রশীদ বাবু অধিকাংশ অভিযোগের বিষয়ে আত্নপক্ষ অবলম্ভন করে এটাকে তার ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির কৌশল বলে দাবী করেন।