শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ( মেম্বার ) ভূমিদস্যু কুদ্দুস অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। আমতলী থেকে দাড়িদহ পর্যন্ত রাস্তার যে বেহাল অবস্থা তা শুধু মাটি ও বালুর কারনে!
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের জুড়ি অনন্তপুর গ্রামের আজিজার রহমান খাঁর ছেলে ভূমিদস্যু আব্দুল কুদ্দুস। অত্র একালায় বালু ও মাটি উত্তোলন করে ভাটায় বিক্রি করায় যেন তার সাধনার ফসল। তার এই সাধনার সাথে কে বা কারা জড়িত প্রভাবশালী মহলের তা এখনো জানা যায়নি।সরেজমিনে গেলে কুদ্দুস বলেন যে আপনার কি করার ক্ষমতা আছে করেন বাকিটা আমি দেখে নেব।
এলাকার মানুষের ফসিল জমি রাস্তা ঘাটের যে ক্ষতির সাধন করে আসছে তার বিরুদ্ধে অনেক মানুষের অভিযোগ থাকলেও আইনের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সে বালু ও মাটি উত্তোলন করে এলাকার মানুষের ফসিল জমির ক্ষতি করে চলেছে।
ইট পোড়ানোর মৌসুমে কুদ্দুসের প্রথম টার্গেট থাকে কৃষিজমি। যে কৃষকের ভিটা (উচু) জমি আছে সেই কৃষকই থাকে কুদ্দুসের মূল টার্গেট। শুধু তাই নয় কখনো করোতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে, কখনো জুড়ীর বিল,কখনো বা পুকুর,কখনো মানুষের জমির পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে চলেছে।
এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় যে তিনি যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
প্রশাসন বারবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও কুদ্দুস কিভাবে মাটি এবং বালু উত্তোলন করে আমাদের বোধগম্য নয়।
কুদ্দুস এর বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। গুজিয়া, পাগলাপাড় দামপাড়া,জুড়ির বিল,শুধু তাই নয় এবার তিনি শুরু করেছেন ময়দানহাটা ইউনিয়নের কুপা নন্দীপুর এলাকার নদী থেকে দুইটি মেশিন একসঙ্গে বসিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছে।