সিজুল হক মিনা নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার(১৮.১১.২০২১) অভিযুক্ত কিশোর এ ব্যাপারে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুর আনুমানিক একটার দিকে শিশুটি ওই গ্রাম সংলগ্ন বারাশিয়া নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বড়শিতে মাছ ধরা দেখছিল। প্রায় ঘন্টাখানেক পর ওই স্থানে অভিযুক্ত কিশোর এসে শিশুটিকে কয়েকটি চকলেট খেতে দেয়। এ সময় আরও চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে পাশের একটি কলা গাছের বাগানে নিয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। শিশুটির কান্নাকাটি ও চিৎকার চেঁচামেচিতে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্থানে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্ত কিশোর। বাড়িতে গেলে শিশুটির মা পরনের প্যান্টে রক্ত দেখতে পায়। এরপর শিশুটি তাঁর মায়ের কাছে তাঁকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা খুলে বলে।আহত শিশুটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)চার দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বুধবার বাড়ি ফেরে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান মল্লিক জানান, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় প্রথমে শিশুটির বাবা অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। এরপর অভিযুক্ত আসামিকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নামে। শিশুটির কাছ থেকে আসামির বর্ণনা নিয়ে ওই এলাকার ২০-২২ জন কিশোরের তালিকা তৈরি করি। তালিকাভুক্তদের ছবি মোবাইলে তুলে সনাক্ত করার জন্য হাসপাতালে শিশুটির কাছে ছবিগুলো পাঠানো হয়। ছবি দেখে শিশুটি আসামিকে সনাক্ত করে। এরপর
ওই গ্রামে মামার বাড়ি থেকে বুধবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, গতকাল অভিযুক্ত কিশোর ফরিদপুর শিশু আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।