স্বাভাবিকভাবেই মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাজার মূলধন কমে এবং সূচকের উত্থানের সঙ্গে বাজার মূলধন বাড়ে। কিন্তু সোমবার এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন সার্বিক কোম্পানি বিবেচনায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ পয়েন্ট। তারপরেও দিন শেষে সব কোম্পানির একত্রে মোট দাম বা বাজার মূলধন বেড়েছে ২৮২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার।
দেখা গেছে, ডিএসইএক্স সূচকটি রোববারের ৪৫৪৫.১৫ থেকে কমে সোমবার লেনদেন শেষে দাড়াঁয় ৪৫৩৩.০৬ পয়েন্ট। বিপরীতে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বাজার মূলধন বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ওইদিন ২১৭ কোম্পানির দর পতন এবং ১১১ কোম্পানির উত্থান সত্ত্বেও বাজার মূলধন বেড়েছে।
ফ্রি ফ্লোট (স্বাভাবিকভাবে বিক্রিযোগ্য) শেয়ারের ভিত্তিতে সূচক গণনায় এমন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটার সুযোগ রয়েছে। যেমন, গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে একটি বড় কোম্পানি। ১৬৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ার মাত্র ১০ শতাংশ। সূচক গণনায় এই ১০ শতাংশ শেয়ারকে বিবেচনায় নেয়া হয়। তবে বাজার মূলধনে শতভাগ শেয়ারকে গণনায় নেয়া হয়। যে কারণে সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধনের ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটার সুযোগ রয়েছে।