মিজানুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের শ্বাসরোদ্ধকর অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকার থেকে অপহরণকৃত মোঃ নাহিদ চৌধুরী (২৫) একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অপহরণ চক্রের ৮ সদস্যকে। সন্তান ফিরে পাওয়ার খুশিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বজনদের।
উদ্ধারকৃত মোঃ নাহিদ চৌধুরী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের নারায়ণপুর এলাকার আবুল কাইয়ুম রুবেল চৌধুরী ও মোছাঃ নাসিমা আক্তার শিমা দম্পতির সন্তান।
পুলিশের বিবরণীতে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকা হইতে সু-কৌশলে চৌদ্দগ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮) ১২/১৩জন সঙ্গী মিলে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন আকুর মুসলিমপাড়াস্থ আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন নূরুল ইসলাম এর বাড়ীতে আটক করে রাখে। অপহরণকারীরা নাহিদকে মারধর করে তার পরিবার থেকে ১লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
একপর্যায়ে নাহিদের মা ৪ হাজার টাকা অপহরণকারীদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠান। অপহরণকারীরা বাকী টাকার জন্য নাহিদ চৌধুরীর মারধরের ভিডিও তার পরিবারের কাছে পাঠায়। নাহিদের পরিবার বিষয়টি
স্থানীয় কোতোয়ালী মডেল থানায় অবহিত করেন।
কোতোয়ালী পুলিশ টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম কে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করলে টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও অতিঃ পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন
এর নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের একটি চৌকুশ টিম গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টার দিকে টাঙ্গাইলের আকুর টাকুরপাড়া সাকিনস্থ নুরুল ইসলামের বাড়ী থেকে কৌশলে নাহিদ চৌধুরীকে উদ্ধার করা হয়।
এরই সাথে অপহরণকারীদের মূল হোতা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮ ), গাজীপুর কালিয়াকৈর মৌচাক চা বাগানের মোঃ শাহিনের ছেলে রাকিব (১৯), দক্ষিন কলেজপাড়ার মোহাম্মদ (৪০), নাঈম মন্ডল (২০), রনি (১৯), আলম (১৯), কাশেম (১৯)সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত অপহরণকারীদের নিকট হইতে ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা ঘটনায় সক্রিয় ভাবে জড়িত এবং তারা শহরের ক্যাপসুল মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে সাধারণ লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এই ঘটনায় আরও ৪/৫জন পলাতক ।
এই ঘটনায় নাহিদের মোছাঃ নাসিমা আক্তার শিমা বাদী হয়ে অপহরণ ও মুক্তিপন দাবীসহ মারধরে ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। মামলা নং ২৬, ধারা- ৩২৩/৩৪২/৩৬৫/৩৮৫/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ) মোঃ রেহানুল ইসলাম ধৃত আসামীদেরকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলাটি তদন্তাধীন আছে। এতে এলাকায় জন-সাধরণের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।