মোফাদ আহমেদ.মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter Instagram share
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনার পাড় ব্রীজের নিচ থেকে উদ্ধার করা বস্তা বন্দি লাশের পরিচয় মিলেছে। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। এ ঘটনায় মূল আসামী ঘাতক স্বামী মসুদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
Surjodoy.com
গতকাল বুধবার ১৯ মে বেলা আড়াইটায় মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, লাশ ভর্তি বস্তার গায়ে “ অনিক শ্রীমঙ্গল” লিখা ছিল। অনিক নাম লিখা সূত্র ধরে ১৩ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ৭ মাস পুর্বে শ্রীমঙ্গলের রামনগর এলাকার মসুদ মিয়া, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বধনপুর গ্রামের ডলি আক্তারকে বিয়ে করে।
The Daily surjodoy
গলায় রশি দিয়ে ফাস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে একটি অটো রিক্সা করে ব্রিজের নিচে ফেলে আসে। মসুদের চতুর্থ স্ত্রী ডলি আক্তার। পরে ঘাতক স্বামী মসুদ মিয়াকে বিকেলে হাজির করা হয় আদালতে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বস্তায় অনিক লিখা সূত্র ধরে শ্রীমঙ্গল শহরেরর সাইফুর রহমান মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী অনিক এবং তার ভাই জুয়েল মিয়াকে সনাক্ত করা হয়। তারা জানান ১৮ মে রাত টার দিকে মসুদ মিয়া একটি বস্তা চা পাতা ভরার কথা বলে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যান।
The Daily surjodoy
ঘাতক মসুদ মিয়া একজন সুদের ব্যবসায়ী। সিন্দুরখান রোডের বসতঘরে ডলি আক্তার এবং আসামী মসুদ মিয়া ঘর সংসার করে আসছে। পুলিশী তদন্তকালে জানা যায় গত ১৭ মে রাতে মসুদ মিয়ার সহিত ডলি আক্তারের ঝগড়া বিবাদ হয়। ওই রাত অনুমান সাড়ে ৩ ঘটিকায় মসুদ মিয়া তার স্ত্রী ডলি আক্তারকে রশি দিয়া গলায় ফাস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,
The Daily surjodoy
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), এ,বি,এম, মোজাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হুমায়ূন কবির। উল্লেখ্য মঙ্গলবার ১৮ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উদনার পাড় ব্রীজের নিচে একটি মুখ বাঁধা সাদা রংয়ের বস্তা দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
The Daily surjodoy
খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১১ দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে বস্তাটি উদ্ধার করে মুখ খুললে এক যুবতির লাশ দেখা যায়।
Leave a Reply