রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৮বছর পর এমপিও ঘোষণাকৃত ঐতিহ্যবাহী হাতীবান্ধা মডেল কলেজকে বাঁচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও ওই এলাকার সচেতন মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় কলেজ সংলগ্ন দইখাওয়া মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই কলেজের অধ্যক্ষ মোছাঃ সালমা খাতুন, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম ও প্রভাষক মোঃ ইমদাদুল হক প্রমূখ। কলেজটি এমপিওভূক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনিকে অভিনন্দন জানায় তারা।
ওই কলেজের সাবেক বিতর্কিত প্রভাষক মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন, মোহাম্মদ নওশাদ আলী ও ছাবেদ আলী-কে জাল সাটিফিকেট ও জাল শিক্ষক নিবন্ধন থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার প্রাপ্ত ওই ৩ শিক্ষক নিজেদের অধ্যক্ষ দাবী করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে জাল সার্টিফিকেট ধারী ৩ শিক্ষক-কে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করায় প্রতিষ্ঠাতাকে অপহরণের হুমকি ও ভুয়া আর্থিক দাবীর অভিযোগ এনেছে বিতর্কিত ওই শিক্ষকরা। ওই কলেজের ৩ জন অধ্যক্ষ পদ দাবী করে প্রতিষ্ঠাতাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। বিতর্কিত ওই ৩ শিক্ষক হলো ১। নুরুজ্জামান ২। নওশাদ ৩। ছাবেদ। কিন্তু ওই ৩ জনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ও অনার্স সার্টিফিকেট জাল (ভূয়া) হওয়ার কারনে ম্যানেজিং কমিটি পর্যায়ক্রমে যাছাই-বাছাই করে তাদের বহিষ্কার করেছিলেন। বহিষ্কার হওয়ার পরেও অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তিরা চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়ে ঘুরছে।
বহিষ্কৃত ওই ৩ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক লালমনিরহাট ও জেলা পুলিশ সুপার লালমনিরহাট সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট প্রেরন করেছেন ততকালীন অবৈতনিক অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) মোঃ ইউনুস আলী।
প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস আলী জানান, ওই প্রতারক সিন্ডিকেটটি কলেজের সুনাম নষ্ট ও আমার কাছে ভূয়া আর্থিক দাবী করে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আমাকে অপহরণের কৌশল অব্যহত রেখেছে।
জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী হাতীবান্ধা মডেল কলেজটি দীর্ঘ ১৮ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী গত ১২-ই জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ এমপিও ভূক্ত ঘোষণা করায় ওই কলেজের কর্মরত অধ্যক্ষ মোছাঃ সালমা খাতুন সহ কলেজের ৩৭ জন ষ্টাফের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কলেজটি ২০০৪ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ফলাফলের মাধ্যমে সাফল্য ও সুনাম অর্জন করে আসছে। কলেজটি লক্ষাধিক পরিবার সম্মিলিত এলাকায় অবস্থিত। এদিকে মোঃ নুরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে জাল সাটিফিকেট মামলা হাতীবান্ধা আমলী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যার সিআর নং১৩৪/২০২০। হাতীবান্ধা থানার পুলিশের তদন্তে প্রমান মিলেছে বলে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছেন। এছাড়া মোঃ ছাবেদ আলী সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস আলীর স্বাক্ষর জাল করার ঘটনা ফরেনসিক রিপোর্টে অমিল হওয়ায় মোঃ ইউনুস আলী কতৃক প্রতারণার মামলা প্রস্তুতি চলছে। ২/১ দিনের মধ্যে আদালতে মামলা হবে বলে জানা গেছে।