সংবাদ কর্মীদের উপর হামলা মূল হতো লুৎফর দেওয়ান ওরফে (গলদা লুৎফর) এর খুটি জোর কোথায় এমন প্রশ্ন এখন জনমনে বিরাজ করছে। ২০ জুলাই চরফ্যাশনের নতুন সুলিজ বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেনু পাচারের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা মৎস্য অফিসারকে অবগত করে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্য সেখানে গেলে। অবৈধ বাগদা ও গলদা রেনু পাচারের গাড়িটি সংবাদ কর্মী বহনকারী মাইক্রোবাসের সামনে পরে। যার নং বরিশাল মেট্রো ল-১১-০৪৯৫।সংবাদ কর্মীরা ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে ।বাগদা ও গলদা রেনু পাচারের মূল হোতা লুৎফর দেওয়ানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাই টিভি (ভোলা দক্ষিণ) প্রতিনিধি সিরাজ মাসুদ, দখিনের ক্রাইম পত্রিকা ও তরুন কন্ঠ পত্রিকারর প্রতিনিধি জিহাদুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির ভোলা জেলা (দক্ষিন) প্রতিনিধি ইলিয়াছ ও সংবাদ সকাল পত্রিকার প্রতিনিধি কামরুন নাহার শিলা কে আহত করে। এসময় তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা,ল্যাপটপ,গলার সোনার চেইন,টাকা নিয়ে যায় এবং মাইক্রোবাস টি ভাঙচুর করে।হামলা শিকার সংবাদ কর্মী সিরাজুল ইসলাম মাসুদ চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩। ২২/৭/২০ তারিখ মামলা নিলেও অলৌকিক কারনে কোন আসামি এখনো গ্রেপ্তার করেনিন পুলিশ। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় আসামিরা এখনো বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেনু আহরণ ও বিক্রি করে। প্রশাসনের নাকের ডগায় আসামিদের অবাধে চলাফেরা ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা দেখে জনমনে প্রশ্ন জাগে আসামিদের খুটি জোর কোথায়? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় প্রতিমাসে লুৎফর দেওয়ান তিন থেকে চার কোটি টাকার অবৈধ রেনু আহরণ ও বিক্রি করে। সেই টাকার ভাগ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু জনপ্রতিনিধি পায়।প্রতি মাসে মাসোয়ারা পাওয়া তাদেরকে কেউ কিছু বলেনা।