প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২৫, ২০২১, ১:৫১ এ.এম
সংসদে বিল পাস, এইচএসসির ফল শিগগিরই: শিক্ষামন্ত্রী সংসদে দীপু মনি
সৌমেন সরকার
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশে রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় সংসদ বিল পাস হয়েছে। এর ফলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা রইলো না।
অনিবার্য পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেয়া ব্যতীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও সনদ দেবার সুযোগ দিয়ে তিনটি বিল পাস হয়। এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। এখন যে কোন দিন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সকালে জাতীয় সংসদ বিল পাসের পর শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এবিষয়ে দ্রুত গেজেট প্রকাশের পর ফলাফল দেওয়া হবে। এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
পৃথক তিনটি বিলে যা আছে- ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২১, ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-১৮(২) এর উপধারায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি । বর্ণিত প্রেক্ষাপটে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অতিমারি ,মহামারী, দৈব দুর্বিপাক এর কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোন অনিবার্য পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগ্রহণ ব্যতীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও সনদ প্রদান করা যাবে। বিলের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬১ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২০ এর খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে ১১ জানুয়ারি তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক খসড়া আকারে প্রকাশ করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশগুলোতে অনেক বেশি মৃত্যুর হার। সে তুলনায় আমাদের দেশে মৃত্যু অনেক কম। এটা আল্লাহর রহমত ও প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা। সেই শুরু থেকেই এসব বিষয়গুলোর দিকে নজর রেখে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমরা এগুচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন কোন জায়গায় ক্ষতি হচ্ছে, কোথায় ব্যাহত হচ্ছে আমরা পরের শিক্ষাবর্ষে কীভাবে সেসব ক্ষতি পূরণ করব, সেসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাজ করতে হচ্ছে। যার ফলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে একটা এসাইনমেন্ট দিয়ে সেই এসাইনমেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করেই আমরা এই শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এই শিক্ষাবর্ষে সেগুলো পুষিয়ে কীভাবে সামনে এগিয়ে যাব, এসব বিষয় নিয়েই কিন্তু ভাবতে হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এবছর যাদের পরীক্ষা নিয়ে কথা বলছি তারা কিন্তু ক্লাস করেছিল এবং পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল। শুধুমাত্র পরীক্ষার আগে করোনা এসায় শুধু পরীক্ষাটা থেমে গেছে। কিন্তু যাদের পরীক্ষা সামনে, এখন তাদের প্রস্তুতির সময়। কিন্তু তারা তো সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি। তারা অনলাইনে কিংবা টেলিভিশনে ক্লাস করেছে। কেউ কেউ ক্লাসের বাইরেও থেকেছে। এজন্য এবছর যারা এসএসসি দিবে, তাদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করেছি। ইতোমধ্যে সেটা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। তার ভিত্তিতে আমরা আশা করছি যে, ফেব্রুয়ারি মাসে যদি আমরা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি- এর পর যদি পরীক্ষার আগে তিন মাস কিংবা চার মাস যদি ক্লাস করাতে পারি, তাহলে তার ওপরে আমরা পরীক্ষা নিতে পারব।
কেউ কেউ বলছেন কোনো একটা জরিপে দেখলাম যে, শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। অথচ প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অসংখ্য এসএমএস, মেইল সরাসরি আমাদের কাছে আসে। এক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো। অনেকেই আমাদের বলেন ‘আমাদেরকে এখন পরীক্ষা দিতে বলবেন না’। এবারের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাও তারা অনেকে দিতে চায় না! অতএব, যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের মতামত নিয়েই কিন্তু আমরা অগ্রসর হচ্ছি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy