গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া অসহায় সাধারণ মানুষদেরকে ভাগ্য শাসন করছে এলাকাস্থিত পাতিদোকানদার ব্যবসায়ীরা। সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুর ইউনিয়নের ও সন্ত্রাসবাদী রসুলপুর ইউনিয়নের যৌথ বাজার হিসেবে শশীভূষন বাজার বেশী নামকরা ও বেচাকেনায় আগানো। পাশ্ববর্তী সন্ত্রাসবাদী ইউনিয়ন জাহানপুর ও সন্ত্রাসবাদী হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের জন্য চেয়ারম্যানের হাট নামক বাজার থাকলেও শশীভূষন বাজারের নিকটবর্তী ঐ দুই ইউনিয়নের বেশীর ভাগ লোকের জন্য শশীভূষন বাজারই সুবিধাজনক। শশীভূষন বাজার নির্ভর অধিকাংশ নাগরীকই কৃষি কাজ করে থাকে। তাদের উৎপাদিত পন্যের ধরন হল যেমন - মরিচ। রান্না করার দুই শত পঞ্চাশ গ্রাম পাকা মরিচের বীজ দিয়ে উৎপাদিত চারা দিয়ে একজন কৃষক প্রায় ষোল শতাংশ জমিতে পাকা মরিচ উৎপাদন করতে পারে। ঐ ষোল শতাংশ জমির মরিচ ক্ষেত হতে ঐ কৃষক প্রায় চার মন শুকনো মরিচ ঘরে তুলতে পারে। প্রতি মন চায় হাজার টাকা দরদামের যাহার স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ষোল হাজার টাকা মাত্র। নগদ পুঁজি হল পঞ্চাশ টাকার দুই শত পঞ্চাশ গ্রাম মরিচের বীজ। যাহার বাজার মূল্য প্রায় পঞ্চাশ টাকা মাত্র। অর্থাৎ, পঞ্চাশ টাকা পুঁজি ব্যবহার করে একজন কৃষক সাড়ে পনেরো হাজার টাকা লাভ করে। সেই কৃষকই আবার ঐ পন্যটি প্রকৃয়া করে মরিচগুলোকে গুঁড়ি করে খুচরা বিক্রির দোকান দিয়ে বসে। খুচরা বিক্রির দোকান দিয়ে ঐ মরিচের গুঁড়া তিনশত টাকা কেজি দর দামে বিক্রি করে অর্জন করে আট চল্লিশ হাজার টাকা মাত্র। মোটের উপর হিসাব কষে দেখা যায় যে, এক জন পাতিদোকানদার পঞ্চাশ টাকা পুঁজি খাটিয়ে লাভ হাতিয়ে নিচ্ছে সাত চল্লিশ হাজার নয় শত পঞ্চাশ টাকা। ঐ পাতিব্যবসায়ী তার পাতি দোকানটি সাধারণত কোন বাজারে রাখে না। গ্রামের অলিতে, গলিতে, পাড়াতে, মহল্লাতে, হার্টের মাথায়, রাস্তার মাথায়, তেমোহনীতে, চৌমোহনীতে, কোন জনবলীয় এলাকায় ঐ পাতি ব্যবসায়ীরা পাতি দোকান বসিয়ে অর্থ বীরত্বপূর্ণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যা বিজনেস কমিউনিটির কেউই দেখিয়াও দেখে না। বুঝিয়াও বোঝে না। জানিয়াও জানে না। এরই ফাঁকে ঐ পাতি ব্যবসায়ীরা হয়ে চলেছে লর্ড এরও লর্ড। কারন তাদেরকে ঘর ভাড়া দিতে হয় না। বিদ্যুৎবিল দিতে হয় না। ট্রেড লাইসেন্স করতে হয় না। ইনকাম ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না। সমাজের প্রতি কোন দায়-দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে না। রাষ্ট্রের প্রতি কোন দায়-দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে না। শুধু ব্যবসা আর ব্যবসা করে চলতে দেখা যাচ্ছে। প্রতিটা উৎপাদন এর উপর ব্যবসা পাতি দোকানদার ও পাতি ব্যবসায়ীরা এই ভাবে বেপরোয়া লাভ করার গতিতে পাতি ব্যবসা করে চলছে। পাতিশিয়াল ও খেকশিয়াল যদিও বন্যপ্রানী তবুও প্রতিদিন তারা বেপরোয়া দ্রুতগতিতে চলাচল করে জীবন ধারণের সর্বোচ্চ মূল্যমানের পরিচিতির পরিচিত উৎপাদিত পন্য হাঁসের মাংশ,, হাঁসীর মাংশ, কচি মোরগের মাংস, কচি মুরগির মাংস খেয়ে জীবন ধারন করে চলার মত একশ্রেণীরপাতি দোকানদার ও পাতিব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সকল ব্যক্তি, গোত্র, পরিবার, গোষ্ঠি, সম্প্রদায়, সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের সকল নিয়ম-কানুন, আইন-শৃঙ্খলা ও আইন-কানুনের তাক-তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া অধিক লাভ/মুনাফা প্রাপ্তির গতিবেগের ব্যবসা চালিয়ে যায় ও অনৈতিক হিংস্র লাভ করে। অথচ কাউকে কোন কর প্রদান করে না। জীবন-জগৎ পরিচালনার কোন সভ্যতাই অনৈক্যভাবে ঐ শ্রেনীর পাতি দোকানদার ও পাতিব্যবসায়ীরা মানে না। পাতিব্যবসায়ীরা পাতিদোকান বসিয়ে লোকালয়ের বা জনবসতির অতি তৃনমুলে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে। স্থানীয় চাহিদার উপর নজরদারি করেই উল্লেখিত মরিচের বীজ থেকে মরিচের গুঁড়া উৎপাদন চক্র প্রকৃতির প্রতিটা পন্য হতে প্রতিটা ধাপেই খুচরা ও পাইকারি বিক্রির পাতিব্যবসা করে থাকে। এই পাতি ব্যবসা করার জন্য নাগরীকদেরন সাথে বহু ফটকাগিরি, হরিঙ্গাগিরি, ফরিঙ্গাগিরি ও মরিঙ্গাগিরি করতে দেখা যায়। উক্ত ফটকাগিরি, হরিঙ্গাগিরি, ফরিঙ্গাগিরি ও মরিঙ্গাগিরি করার ক্ষেত্রে তাদেরকে তাদের স্ব-স্ব ঘাঁটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সকল মূল্যবোধকে অবমূল্যায়ন, শ্যালিকা মূল্যায়ন, শ্যালক মূল্যায়ন ও মশকারীর দূলাভাই মূল্যায়ন করতে দেখা গেছে। আড্ডাবাজি, টাস-জুয়াবাজি, মাগিবাজি, গাঁজা বাজি, ফেনসিডিলবাজি সহ বহু অনৈতিক কথাবার্তা ও অন্যায়বাদী কথাবার্তা ও আচার- আচরন করতে দেখা যাচ্ছে। একজন পাতি দোকানদার কোন মহল্লাতে পাতিদোকানের নামে ঘাঁটি গেড়ে বসে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল নাগরিক অধিকার অর্জন ও লুন্ঠন করে থাকে। দেশের সমাজের সকল অনৈতিক কাজ করে থাকে। পাতি দোকানদার ও পাতি ব্যবসায়ীদের এহেন কার্যাবলীতে সভ্যতা বিলুপ্তির পথে বসেছে। আবার ঐ সকল পাতিব্যবসায়ী ও পাতি দোকানদারদের পরিচালনায় বিভিন্ন বেআইনী ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কাজকর্মও পরিচালিত হতে দেখা যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী শশীভূষন থানা এলাকার এওয়াজপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসবাদী এক নং, দুই নং ও তিন নং ওয়ার্ডের পাতি দোকানদারদের পাতিব্যবসা পর্যবেক্ষণ করে হরিঙ্গাপাতি নিরবের দোকানে ঐ ধরনের পাতিব্যবসার কোনোটিরই কমতি নেই। ফটকাপাতি ব্যবসায়ী সিরাজ তার পাতি ব্যবসার দোকানে (বা পাতি ব্যবসালয়ে) সে বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমও খুলে বসার কাজ করছে। মরিঙ্গাপাতি দোকানদার মনির তার বাবার আমল থেকেই ছোট ভাই মাকসুদকে নিয়ে পাতি ব্যবসার ঘাঁটি গেঁড়ে আছে। এই সকল ফটকা, হরিঙ্গা, ফরিঙ্গা, মরিঙ্গা, টাউট-বাটপারেরা সমাজে অবক্ষয় প্রস্তুত করে ও পরিচালনা করে। তাদের দোকানগুলোতে ব্যবসা-বানিজ্যের নিয়মতো মানা হয়ই না বরং কোন পন্যের গুনগত মানও ঠিক থাকে না। এছাড়া তাদের দোকানের পন্যের খুচরা ও পাইকারি , ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য লাগাম ছাড়া, পাগলামো, ও ফালতু। এছাড়াও ঐ সকল পাতি দোকানদাররা এলাকায় জলদস্যুতা, ভূমিদস্যুতাসহ নানান পাপকাজে জড়িত থাকে। তা
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy