নিজস্ব প্রতিবেদক
সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমানের ঘরে ডাকাতির ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ। গেপ্তার ডাকাতরা জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছে।বরিবার(৫ মার্চ)বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন সন্দ্বীপ থানার এএসআই মো. হুমায়ুন ও মো. আল আমিন।
গ্রেপ্তার দুই ডাকাত হল- কালাপানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাসার বাড়ির মো. আবুল কাশেমের ছেলে ছগির ও বাউরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাশেম মাস্টার বাড়ির মো. আবুল হাশেমের ছেলে শামীম।
জানা যায়,রবিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটায় মুস্তাফিজুর রহমানের ঘরের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ডাকাতরা নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,মোবাইল ফোন ও দামি জিনিসপত্র লুট করে নেয়।এছাড়াও ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে।
এ সময় মুস্তাফিজুর রহমানসহ স্ত্রী ও স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে।আজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি টিম গোপন অভিযানে নামে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শহীদুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন,ডাকাতির ঘটনার পরপরই পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে। বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তারা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ছগির ও শামীমের বিরুদ্ধে সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।ছগিরকে ২০১৮ সালে বন্দুকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় ১৬ বছরের সাজার রায় রয়েছে।আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।