
তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরো।
ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রুতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে উঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে। শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান। সময়ের সাথে এ বাগান এখন আর শৌখিনতায় আটকে নেই।
তেমনি একজন শৌখিন মানুষ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন। তিনি তার বাড়ির ছাদে ড্রামে, ছোট বড় টবে লাগিয়েছেন নানান রকমের ফলজ, ঔষুধী এবং সবজি গাছ।
বাড়ির ছাদে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছ। সেই গাছে ধরেছে কমলা, পেয়ারা, মাল্টা, বরই, জলপাই, ডুমুর, আম, আমড়া, ডালিম, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল। এ ছাড়া রয়েছে ঢেঁড়স, সিম, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন রকম সবজি, পুঁইশাক, লাল শাক, ধনিয়াপাতা, সরিষা শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাকও রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন রকম ফুলের গাছও।
তাছাড়া তিনি বস্তায় মাটি ভরে আদার গাছও লাগিয়েছেন।
ওই ছাদবাগানে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জৈব সার ও জৈব পদ্ধতিতে তৈরি কীটনাশক ব্যবহার করেন তিনি। গাছের প্রতি ভালোবাসাতেই গড়ে তোলেন এছাদ বাগান। এবছর সফিউল আযম চৌধুরী এর ছাদবাগানে প্রায় শতাধীক গাছে এখন সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে।
নিরাপদ সবজি দিয়ে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, পারিবারিক বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ ছাদ বাগান।
প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নয় বরং একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ছাদ বাগানের সূচনা।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply