বিশেষ প্রতিনিধিঃ- শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস
সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারী সিদ্ধান্তমতে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাইন ঘোষনা করে সরকারী বেসরকারী সকল অফিস সাধারন ছুটি ঘোষনা করেন। ঠিক সেই মূহুর্তে সরকারী বিধি নিষেধ অপেক্ষা করে আদমদীঘি ব্র্যাক এনজিও কর্মিরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন। এদিকে লকডাইনে বন্ধ থাকা নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিস্তির টাকা দিতে পারছেনা। না পারলেও হতে হচ্ছে অপমান লাঞ্চনা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ব্র্যাক, আশা, এসকে এস, গ্রামীন ব্যাংক সহ একাধিক এনজিও এই উপজেলা ক্ষুদ্র লোনের কাজ করছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে ছোট খাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ সহ মাসিক অথবা সপ্তাহিক ভাবে কিস্তি পরিশোধ করে থাকেন।
করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সারাদেশে মহামারী দেখা দিলে সরকার সারাদেশে সাধারন ছুটি ঘোষনা করে কঠোর লকডাইন ঘোষনা করেন। এই কঠোর লকডাইনে মধ্য বিত্ত সহ নিম্ম বিত্ত আয়ের মানুষেরা রোজগার করতে না পেরে বাসা বাড়ীতে বসে আছে। তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ চলছে কষ্টের মধ্যে। সকল এনজিও কিস্তি আদায় বন্ধ থাকলেও থেমে নেই ব্র্যাক কর্মিরা সকাল হলেই বাড়ী বাড়ী গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তির টাকা আদায় করছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ব্র্যাক এনজিও একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, এই কঠোর লকডাউনে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে অতি কষ্টের মধ্যে চলতে হচ্ছে তার উপর ব্র্যাক এনজিও কিস্তির চাপ।
এমন অভিযোগের ভিক্তিতে আদমদীঘি ব্র্যাক এনজিও এরিয়া ম্যানেজার লুৎফর রহমানের সাথে মুঠোফোনে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় কথা বললে তিনি কিস্তি আদায়ের কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমার কোন মাঠ কর্মী কিস্তি আদায়ের জন্য কোথাও যেতে পারবে না তবে অতি উৎসাহি কিছু কর্মী যেতে পারে তবে এর জন্য অফিস দায় দায়িত্ব নিবেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঠ কর্মীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, কি আর বলি আমাদের উর্ধতণ কর্মকর্তার নির্দেশে আমাদের কিস্তি আদায় করতে হচ্ছে। এদিকে একে অপরকে দোষারোপ করে চলছে তবুও কিস্তি আদায় বন্ধ নেই।
Leave a Reply