1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
সরকারি ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশিতে.ছেলের নাম রাখেলন মুজিবুর রহমান
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
“বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ৭ই মার্চ সাংবাদিক নয়নের উপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন  নওগাঁর সাপাহারে ৫৯ জন ভূয়া দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : মোঃ লিটন মাদবর বিল্লাল  ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : আনোয়ার হোসেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : হাসান মন্ডল 

সরকারি ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশিতে.ছেলের নাম রাখেলন মুজিবুর রহমান

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১, ২.৩০ এএম
  • ১১১ বার পঠিত
সরকারি ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশিতে.ছেলের নাম রাখেলন মুজিবুর রহমান
রফিকুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে যশোরের  শার্শা উপজেলার বালুন্ডা গ্রামের হাফিজা বেগম আনন্দে আত্নহারা। তাই উপহারের ঘরে সদ‍্য জন্ম নেয়া সন্তানের নাম রাখেলন মুজিবুর রহমান। বললেন তার সুখ-দুঃখের কথা। ফেললেন আনন্দাশ্রু। বললেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের লাখো ঘরে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হোক।
বাপের ঘর থেকে স্বামীর ঘরে এলাম। ঘর তো নয়, ভ্যান্না পাতার ছাওনি। একটু বৃষ্টি হলেই ঘর জুড়ে কাদায় ভরে যেত। একটু ঝড় বাতাস বয়লেই ঘর নড়বড় করত। তাও আবার অন্যের জমিতে ঘর। অনেক আশা ছিল, গ্রামের আরো ১০ গৃহস্তের মত আমাদের একটি ঘর হবে নিজ জমিতে। স্বপ্ন দেখতাম আর ভাবতাম, যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে আবার গৃহস্থ বাড়ী। এরইমধ্যে আবার আমি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলাম। ভাবতাম এ ভাঙ্গা ঘরে আমার সন্তান রাখবো কোথায়।
হঠাৎ একদিন চেয়ারম্যান সাহেব জানালো তোমাদের পাকা ঘরসহ জমি হবে । তাও নাকি আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিবে। খবরটা শুনে বুকটা ভরে গেল। আমার স্বামীর সাথে বললাম, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমিসহ পাকা ঘর দিচ্ছে। আমাদের আনন্দের আর সীমা রইল না।
কিছু দিনের মধ্যেই জমিতে ইট পড়তে দেখে পেটে হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম, আমার যদি ছেলে হয়, যে আমাদের ঘর ও জমি দিচ্ছে তার বাবার নামেই আমার ছেলের নাম রাখবো।
আমার সপ্ন সত্যিতে পরিনত হলো। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ঘরে উঠেই ১মাসের মধ্যে আমার একটি ছেলে সন্তান হল। তাই তার নাম রেখেছি মুজিবুর রহমান।
কথা গুলি বলছিল শার্শা উপজেলার বালুন্ডা গ্রামের হত দরিদ্র আসাদুল হকের স্ত্রী হাফিজা বেগম। এ সময় তার দু’চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল আনন্দাশ্রু
এ সময় হঠাৎ আগমন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়ার। তারা সংবাদ কর্মীদের দেখে বললেন, আপনারা এলেন যখন তখন আমাদের এ প্রকল্পের কাজ গুলি একটু দেখে যান। আমরা উলাশী, বালুন্ডা ও কায়বা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলো দেখলাম।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানও প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করে কাজের মানে যেন কোন ত্রুটি না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেভাবে ঘরগুলো করার নির্দেশনা দিয়েছে, নকশা ঠিক রেখে আমরা সেভাবেই করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার কাজটি আমরা উপজেলা কমিটির মাধ্যমে করেছি এবং এ কাজে আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলি দেশসেরা করার জন্য। সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এ প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিন্নমুল মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews