হাসনাত তুহিন, ফেনী প্রতিনিধিঃ
কৃষি জমির মাটি কাটার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করে মাটি কাটার মহাউৎসবে মেতে উঠেছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। সরকাররে উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে গ্রামীণ কাঁচা সড়ক গুলোকে পাকা করনের আওতায় এনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সেই উন্নয়নকে ব্যাহত করতে রাতের আঁধারে গ্রামীন পাকা সড়কগুলোতে হার হামেশাই মাটিবাহী গাড়ি চলাচলের ফলে, রাস্তাগুলো ভেঙে চুরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে ভোগান্তিতে পোড়াতে হয় সাধারণ জনগণকে। এছাড়াও সরকারের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হচ্ছে।দাগনভূইঞা প্রশাসনের নাগের ডগায় হার হামেশাই মাটিবাহী গাড়ি চলছে। ফিল্ড মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের আলো আঁধারের লুকোচুরি খেলায় এ যেন দেখার কেউ নেই।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দাগনভূইঞা পৌরসভায় আবাসিক এলাকার মধ্যে ব্রিক ফিল্ড স্থাপনার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রয়েছে অনেকগুলো ব্রিক ফিল্ড। আবার অনেক ফিল্ডের বৈধতার নিয়েও সঞ্চয় রয়েছে। তবুও চলছে ইটভাটার ব্যবসা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, রাতের আঁধারে যে পরিমানে মাটি বাহি গাড়ি চলে, দু’চোখে ঘুম আসেনা। ঘুম ঘুম চোখে সকালে বাহির হতে হয় কর্মের সন্ধানে, কোন কাজে মন বসে না। আরো কয়েক জন বলেন,মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে সরকার দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তাদের বাঁধা দিতে গেলে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, তাই মুখ বুজে সহ্য করতে হয়।দাগনভূইঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা ও দাগনভূইঞা থানা প্রশাসন গেলো বছরেও দেখা গিয়েছে মাটি ক্ষ্যাকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। বর্তমান সময়ে অভিযান পরিচালনা করতে দেখে যায়নি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। এ নিয়ে সাধারণ জনগণ বিরূপ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পূর্বের ন্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে, সরকারের উন্নয়নের ক্ষতি সাধনের হাত থেকে রক্ষা করে, সাধারণ জনগনের কে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার আসা ব্যক্ত করেন।
এই দিকে জেলা প্রশাসক আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ বলেন, মাটি ব্যবসায়ীর সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের নামের তালিকা করে মামলা দেওয়া হবে।