শামীম সরকার নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক ভূঁইয়া
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক ভূঁইয়া
ময়মনসিংহ–৯ (নান্দাইল) আসনের সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খানকে কটাক্ষ করার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতা সাংসদকে ‘২০১৪ সালে (নির্বাচনে) অটো পাস’ ও ‘২০১৮ সালে রাতের ভোটে এমপি’ বলে কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নান্দাইল থানায় মামলাটি করেছেন মো. তৌফিকুল ইসলাম (২৭) নামের এক তরুণ। তিনি নিজেকে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. এমদাদুল হক ভূঁইয়া। তিনি নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
গত বুধবার মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ। তবে আজ শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ বিষয়ে বাদী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার নকল তোলার পর আপনাদের (সাংবাদিক) জানালাম।’
সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান
সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাছাই করার জন্য সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম পক্ষের নেতারা দলের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর এক সভা আয়োজন করেন। ওই সভায় চণ্ডীপাশা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূঁইয়া বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি নান্দাইল আসনের বর্তমান সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খানকে ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অটো পাস’ ও ‘২০১৮ সালে নির্বাচনে রাতের ভোটের এমপি’ বলে কঠাক্ষ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর ওই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ নিজের ফেসবুক পেজে প্রচার করে সাংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
বাদী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, এমদাদুল হক ভূঁইয়া সাংসদকে কটাক্ষ করে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই তিনি এ মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তৃণমূল সভায় তাঁর ওই বক্তব্য ছিল নান্দাইলের রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়ে। তিনি তো দলের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তাঁর পুরো বক্তব্য শুনলে বোঝা যাবে কেন এটি বলেছেন।
এমদাদুল হক বলেন, ‘আমি বিএনপি তথা চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমান সরকারের আমলেও পরপর দুবার নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সাংসদ বিভিন্ন সভায় বলেছেন তিনি নাকি আমাকে ভোট চুরি করে নির্বাচিত করেছেন। ওই প্রসঙ্গে বলেছি চুরি করে নয়, ভোটারদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি।’ এমদাদুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সভায় আমার বিরুদ্ধে সাংসদ আনোয়রুল আবেদীন খান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়েও তো মামলা করা যায়।’