মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক অসহায় ভ্যান চালকের কুড়ে ঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫জন আহত হয়েছে। ৯৯৯এর খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।এ দিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যানচালক উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের মেহমানপুর গ্রামের মৃত দেলবার দফাদারের ছেলে ভ্যান চালক আবুল কাশেম (৫২) সাংবাদিকদের জানান-তার বাপ-চাচারা দুইভাই।তাদের পৈত্রিক দুই দাগে ৪২শত জমি রয়েছে। সেই জমির মধ্যে থেকে চাচা সৈয়লদ্দিন দফাদার তার পৈত্রিক ২১ শতক জমি রায়টা গ্রামের হামিদুল্লাহ সরদারের কাছে বিক্রয় করে দেন।এরপর থেকে নিরহ ভ্যানচালক তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্য ২১শতক জমিতে ৩ বোন ও মাকে নিয়ে বসতবাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর মধ্যে তার চাচার বিক্রয়কৃত জমি হামিদুল্লাহ সরদার তার বড় ছেলে আজগার আলীর কাছে বিক্রয় করে দেয়। আজগার আলী ওই জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।এরপর আজগার আলী কৌশল করে তার ২১ শতক জমি আকছেদ আলী গাজী নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে দেয়। দীর্ঘ দিন পরে আকছেদ আলী গাজী জমির দখল না পেয়ে নিরহ আবুল কাশেমের বাগানকৃত পৈত্রিক জমিতে পাকা বসত ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে।এতে বাঁধা দেওয়ায় গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আজগার আলী ও আকছেদ আলী গাজী কলারোয়ার দেয়াড়া, ঝিকরা ও মির্জাপুর থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে নিরহ ভ্যান চালকের কুড়ে ঘর ভাংচুর করে।এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে ভ্যান চালক আবুল কাশেম (৫২), বৃদ্ধা মা রহিমা খাতুন (৭০) বোন-মনজুয়ারা (৫৫), মাজেদা খাতুন (৪২), দোলাভাই-আজাহারুল ইসলাম (৪৫) আহত হয়।এছাড়াও তারা গাছগাছালি কেটে নষ্ট করে।ওই সময় ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থানে এসে আকছেদ আলী, হযরত, এরশাদ, মামুন, মদুত ও ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।তিনি আরও বলেন আমার পৈত্রিক জমি তারা গোপনে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেওয়ার ঘটনায় তিনি সাতক্ষীরা আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছেন,জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার জন্য তিনি সাতক্ষীরা আদালতে ১৪৫ধারায় একটি মামলা করেন। এরপরে তারা আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে নিরীহ ভ্যান চালকের পরিবারের উপর হামলা করেছে। তিনি এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা করেছেন।বর্তমানে আদালতে ৩টি মামলা চলমান রয়েছে। নিরহ ভ্যানচালক আবুল কাশেম ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার ও আদালতের বিচারকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।