সাতক্ষীরার কলারোয় ২১বছর পরে জমিতে আমন ধানের চাষ
মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার কলারোয় ২১ বছর পরে সাড়ে ৩ হাজার বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ হচ্ছে। এলাকাবাসীর সযোগিতায় কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে ডুবে থাকা বিলের পানি ১মাস ধরে সেচ দিয়ে সেখানে রোপন করা হয়েছে আমন ধান। বর্তমানে ওই মাঠে সেচের কাজ চলমান রয়েছে।২৬জুলাই সকালে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা ধান চাষের জমি রয়েছে। সেই জমিতে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকায় ধান চাষ করতে পারেনি জমির মালিক (চাষিরা)। ২০০০ সালে বন্যার পর থেকে অদ্যাবধি আমান ধান চাষ করতে পারেনি চাষিরা।
মুরারীকাটি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ও পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় ওই ওয়ার্ডে ১২সদস্য বিশিষ্ট একটি পানি সেচ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সভাপতি হলেন-আরিজুল মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক হলেন, আব্দুর রাজ্জাক গাজী। তাদের নেতৃত্বে গত ১মাস ধরে ওই মাঠের পানি সেচ দিয়ে জমিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। মাঠে চলছে ধান রোপনের মহোৎসব। পাল্লা-পাল্লি দিয়ে চলছে ধান রোপন। বর্তমানে মাঠটি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এবিষয়ে পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ২০০০ সাল থেকে ৭নং ওয়ার্ডবাসী মাঠে আমন ধান চাষ করতে পারিনি। তিনি চাষীদের মুখের দিকে তাকিয়ে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করেছেন। পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, ২১বছর ধরে মুরারীকাটি গ্রামের সাড়ে ৩হাজার বিঘা জমিতে পানি জমে থাকায় চাষীরা ধান চাষ করতে পারিনি। এবিষয় নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সাথে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ২লাখ টাকার বরাদ্দ নেন। সেই টাকা দিয়ে ১৮৬ফুট ড্রেন করেন। এরপর তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ’র সাথে পরামর্শ করে আরও ৩ লাখ টাকার বরাদ্দ নেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি পানি নিষ্কাশনের জন্য ৪৮৬ ফুট ড্রেন করেন। এছাড়া নিজেদের উদ্যোগে ৪শ’৪০ফুট ড্রেন ও ৩১৪ ফুট পাইপ ও একটি জলমোটর ক্রয় করেন। বর্তমানে এই কাজ করতে গিয়ে তাদের প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে ওই ওয়ার্ডের কৃষক নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ইমাদুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, বেনজির রহমান, আব্দুর রশিদ বাবু, আব্দুর করিম, আব্দুল্লাহ জিয়াদ, জয়নুদ্দিন, বাচ্চু জানান-এত বছর পরে মাঠে ধান রোপন করতে পেরে তারা মহা খুশি।এবিষয়ে ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মীরশাদ আলী জানান-দীর্ঘ দিন পরে এই উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি আনন্দিত। আর এই কাজে যারা সহযোগিতা করছেন তাদেরকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ক এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-এমপি বলেন, কলারোয়া পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম তার এলাকার মানুষের জন্য কিছু করে দেখাতে চান। সে জন্য তিনি এমপির কাছে গিয়ে এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা কথা খুলে বলেন। এমপি ৩লাখ টাকার বরাদ্দ দেন।
Leave a Reply