
মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার দেবহাটার টাউনশ্রীপুরে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্লুইস গেটের কপাট খুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এলাকাবাসী টাউনশ্রীপুর স্লুইস গেটের পাটার ডালার দড়ি খুলে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করে। দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওই গেটের ডালা খুলে দেন।এরাকাবাসী জানায়, টাউনশ্রীপুর গেটের দায়িত্বে রয়েছে কোরমপুর গ্রামের এক ব্যক্তি। সে কোন কাজ করেনা শুধুমাত্র সরকারী টাকা তুলে নিজের মতো চলছেন। এই গেটটির উপরে হাজারো মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত। অধিকাংশ মানুষ মৎস্য চাষ ও ধান চাষাবাদের উপর জীবিকা নির্ভরশীল। কিন্তু গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ঘলঘলিয়া, টাউনশ্রীপুর, চর শ্রীপুর, চররহিমপুর সহ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে ওই গেট খালাসি কোন কাজ করেনা। সে ঠিকমতো পাটা উঠানো বা নামানোর কাজ করেনা। তাকে অধিকাংশ সময় খুজে পাওয়া যায়না। দেবহাটা উপজেলা সদরের দেবহাটা, সখিপুর, পারুলিয়া এই তিনটি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল আছে। আর সেই খালটি সরকারিভাবে জনৈক আব্দুল আলিম ইজারা নেওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাধারন মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।উপজেলার নিচু এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক ফসলি জমির ধান ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে আছে। অনেক কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে মানুষেরা ঘরছাড়া হয়েছেন।তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক হিসাব করা না গেলেও আনুমানিক কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা। পারুলিয়া, সখিপুর ও দেবহাটা এই তিনটি ইউনিয়নের পানি সরার জন্য টাউনশ্রীপুরে যে স্লুইস গেটটি আছে গত বন্যার সময় উক্ত গেটটি ভেঙে গেলে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী সে সময় ভাঙন রোধের জন্য নিজ উদ্যোগে লোক নিয়োগ করে মাটি ও বালি ভরাটের ব্যবস্থা করে সেসময় ভাঙ্গন রোধ করেন। গেটটির ভিতর একটি ডালা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে অতি দ্রুত উক্ত ডালাটি মেরামত বা নতুন ডালার ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য এলাকাবাসী পাউবো সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply