1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
সাতক্ষীরার পানি ফলের সুনাম এখন সারাদেশে
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা

সাতক্ষীরার পানি ফলের সুনাম এখন সারাদেশে

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৩.৪৬ পিএম
  • ১৯৫ বার পঠিত
মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধ এলাকায় পতিত জমিতে পানিফল চাষ করে সফলতা পেয়েছে সাতক্ষীরার চাষিরা। ফলে চীনের খাদ্যতালিকার জনপ্রিয় এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্যপণ্যটি সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। সুস্বাদু এ ফলটি এখন জেলার কালীগঞ্জ,
দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় চাষ হচ্ছে জোরে সরে।অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছর এর পরিধিও বাড়ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য নারী ও পুরুষের। আশ্চর্যের বিষয় হলো অল্প পুঁজিতে কম দামে বেশি ফলন লাভ এমন ফসল খুব কম আছে দেশে।
সাতক্ষীরায় উৎপাদিত ফলটি এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চাষিরা অক্লান্ত পরিশ্রম আর গবেষণা করে জলাবদ্ধ জায়গা সোনার ফসলে রূপ দিয়েছে।তাদের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে জেলা কৃষিখামার বাড়ি। অতি পরিচিত পানিফলটি শুধু গ্রামেই নয় শহরের ফুটপাতের ফলের দোকানে স্থান করে নিয়েছে।
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের সখিপুর, ডেল্টা মোড়, কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়, পাকাপোল ব্রিজ, বড় বাজার সহ, সাতক্ষীরা কলারোয়া সড়কের দুধারে, সহ জেলার সব খানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে পানিফল।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পানিফল বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা।
প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮শত থেকে ৯শত টাকায়।
পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। পানিতে জন্মে বলে পানিফল নামে এটি পরিচিতি লাভ করেছে। তবে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে থেকেই চীন দেশে পানিফলের চাষ হয়ে আসছে। বিগত দর্শক থেকে বাংলাদেশও পানিফলের চাষ হয়ে আসছে বিচ্ছিন্নভাবে।
তবে পানিফল চাষে সফলতা আসায় জলাবদ্ধ যুক্ত সাতক্ষীরা জেলায় বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ শুরু হয়েছে আরো কয়েক বছর আগে থেকেই। পানি ফল দেখতে অনেকটা সিঙ্গাড়ার মতো বলে সাতক্ষীরার লোকরা একে ডাকে সেঙ্গারা ফল নামে। কাঁচা অবস্থায় এ ফল খাওয়ার প্রবণতা বেশি।
আবার সিদ্ধ করে, রান্না করে কিংবা প্রক্রিায়াজাত করেও অনেকে খেয়ে থাকে। দেবহাটা উপজেলার কামটা গ্রামের শাহিনুর রহমান।তিনি পানি ফলের পাইকারি ব্যবসায়ী। তিনি জানান, পানি ফল চাষের মৌসুম আসার আগেই অর্ধ শতাধিক চাষিকে আমি বিনিয়োগ করেছি। ফলন আসার পর সেই চাষিদের নিকট থেকেই আমি ফল সংগ্রহ করছি।
কলারোয়ার গোপিনাথপুর গ্রামের ইয়াকুব্বর আলী চলতি মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে পানি ফলের চাষ করেছেন। তিনি জানান, পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
অন্য কৃষি কাজ করা সম্ভব হয় না।যার কারণে গত কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধ জমিতে পানিফল চাষ শুরু করেছি। এতে বাড়তি লাভ হচ্ছে। খরচ কম আবার উৎপাদন ও বিক্রি বেশি। এবছর তিনি আড়াই লাখ টাকারও বেশি পানিফল বিক্রি করতে পারবে বলে তারা আশা।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১২০ হেক্টর জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে।এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২১ হেক্টর, কলারোয়া উপজেলায় ২১ হেক্টর, তালা উপজেলায় দুই হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ২৩ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হেক্টর,
আশাশুনি উপজেলায় দুই হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমের চয়ে চলতি মৌসুমে পাঁচ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ বেড়েছে। জেলায় ১৬শত জন কৃষক পানিফলের চাষাবাদ করেছেন বলে সূত্র জানায়।পানিফলের শুধু খাদ্যগুণই নয় রয়েছে ঔষধি গুণও। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন,
পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় সাতক্ষীরায় ফলটির চাষাবাদ বেড়েছে। কোনো চাষি কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়া পানিফল চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সার্বাক্ষণিক সহয়তা করে যাচ্ছে।
তবে পানিফল নিয়ে গবেষণা বা সুষ্ঠ পরিকল্পনা করতে পারলে এর পরিধি আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews