সাতক্ষীরায় তিন দিনের নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় আমন ক্ষেতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক কৃষকের সদ্য রোপন করা সরিষা বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। সাথে কারেন্ট পোকায় শেষ করছে ফসল। ঝড়ো হাওয়ায় আধা কাঁচা পাঁকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ডুবে ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়া পানিতে ডুবে থাকা ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে।ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাচিমপুর গ্রামের কৃষক শুভঙ্কর ঘোষ জানান, দুই বিঘা জমিতে ধান করেছিলাম। আধাপাকা ধানে কারেন্ট পোকা লেগেছে। তার উপর এই টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ধান নুয়ে পড়ছে। তাছাড়া ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষেতের পানি সরে না গেলে ধান কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। আবার পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। এতে আমরা অধিকাংশ কৃষক ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। রাজবাড়ী গ্রামের কৃষক মনিরুল জানান, এবার ফসল কারেন্ট পোকায় এবার শেষ করে দিয়েছে। এলাকায় প্রায় কৃষকের কারেন্ট পোকায় ক্ষতির পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমার দুই বিঘা ধান কাটার পর সরিষার বীজতলা দিয়েছিলাম এই বৃষ্টিতে বীজতলা পানির নিচে থাকায় সব নষ্ট হয়ে যাবে।এব্যাপারে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিরণময় সরকার জানান, ঝাউডাঙ্গা এলাকায় এবার ১৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ৩-৪টি এলাকায় কারেন্ট পোড়ার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের ঔষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। তাছাড়া ধারণা করছি এই বৃষ্টি হওয়ায় এতে পোড়ার আক্রমণ কমে আসবে। আর ঝড়ো হাওয়া ঠিক কত গুলো ফসল ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন শেষে জানাতে পারবো।