আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধুবীকে গণধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৯ কিশোর পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান।
আটকরা হলো- ডায়মন আলামিন, জাকির , পান রাকিব , সারুফ । পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে। বাকি দুই জন শিক্ষার্থী। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায় নি।
ভুক্তভোগীদের সাথে বেড়াতে যাওয়া কিশোর ইসরাফিল জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে চুল কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগীরা। প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সাথে দুই বান্ধুবী ভাদাইলের গুল্লারচর এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাঙ্গের ১২ থেকে ১৪ জন সদস্য। পরে ভুক্তভোগীর সাথে বেড়াতে যাওয়া দুই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে। পরে ভুক্তভোগীদের একটু আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধুবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।
ঘটনার সাথে জড়িতরা হলেন পবনারটেক এর আব্দুর রশিদের ছেলে আল-আমিন ডায়মন,করম আলীর ছেলে-আল-আমিন,শাহাজালালের ছেলে শাকিল, মহরআলীর ছেলে আকাশ,আনসার আলীর ছেলে জাকির ও আলআমিন (৩)সহ মোট ৮/৯ জন ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ১ মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর গ্যাংয়ের প্রধান সারুফের বাবা আকরাম হোসেন প্রিন্স কিশোর গ্যাঙ্গের অন্যান্য সদস্যসহ অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় মাদবরদের নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এঘটনার সাথে একটি প্রতারক চক্র যোগ হয়ে সারুফ এর বাবাকে ব্লাক-মেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা নেয়।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। পরে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জোর দাবী করে জানায়, যারা এ ঘটনা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় নেয়া হোক।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান জানান, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোন অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এঘটনায় আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy