আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ

এবারের কোরবানীর ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়ার নায্য দাম পায়নি বলে অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি জেলা প্রশাসকদের সাথে সরকার যোগাযোগ করেছে ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম।

রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বাংলাদেশ বিসিক শিল্প নগরী ট্যানারির কাঁচা চামড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

শিল্প সচিব আরও বলেন, কাঁচা চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেলো কি না পেলো বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখে। চাঁমড়া শিল্প বর্তমানে সম্ভামনাময় খাত সরকার বিশ্বাস করে যে চামড়া খাতকে সমৃদ্ধি করার মাধ্যমে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি ২০২১ সালের মধ্যে এই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষে চামড়া শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতকে উন্নয়ন করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করে জাতীয় আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, ট্যানারির সিইটিপি সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে এছাড়া ট্যানারির রাস্তা ঘাটসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে বিভিন্ন ট্যানারি কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানীর কাঁচা চামড়া আসা শুরু হয়েছে। কাঁচা চামড়া গুলো কারখানার শ্রমিকরা লবণ মাখিয়ে রেখে দিচ্ছে। ঈদের দিন থেকে প্রায় তিনদিন কাঁচা চামড়া আসবে কারখানাগুলোতে। ঈদের ছুটির পরে শ্রমিকরা কারখানাগুলোতে চলে আসলে পুরো দমে উৎপাদন শুরু হবে। এদিকে কাঁচা চামড়া ক্রেতারা জানিয়েছে তারা কাঁচা চামড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।

ট্যানারির মালিকরা জানিয়েছেন, লবণ মাখা চামড়া তারা নায্য দামে কিনবেন। যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে একটু সমস্যা হলেও সেটা তারা পুষিয়ে নিবেন।

ট্যানারি পরিদর্শনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান এসডিসি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অক্তিরিক্ত সচিব সাখাওয়াত হোসেন, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা, চামড়া শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জিতেন্দ্র নাথ পাল, সাভার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম সহ আরো অনেকে।