আনোয়ার হোসেন আন্নু , বিশেষ প্রতিনিধি :
সাভারে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন নিহতের ঘটনায় হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের শিশু সন্তান, স্বজনসহ এলাকাবাসী। এঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেন প্রায় আধাঘন্টা বন্ধ ছিল।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ডের ঢাকাগামী লেন অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলে নিহতের শিশু মহাসড়কে বসে বাবার হত্যার বিচার দাবি করে।
নিহতের ৪ বছরের শিশু সন্তান সুমাইয়া বলে, আমি ছোটবেলায় আমার বাবাকে হারালাম। আমার বড় হয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার দায়িত্ব কে নেবে। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই শিশু।
নিহতের ছেলে সুজন বলেন, আমার বাবার ভদ্র প্রকৃতির ছিলেন। একারনে আসামিরা বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তে প্রামন হয় যে তারা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে আদালতে বাদীর বিরুদ্ধে প্রসিকউশন জারি হলে তারা বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালায়। আমার বাবাকে ওরা মেরেই মেলেছে। আমরা আজ এতিম হয়ে গেলাম। এই এতিমের দাবি হত্যাকারীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আমরা সড়কে নেমেছি। তবে পুলিশ আমাদের সর্বোচ্চ বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। যে কারনে আজ আমরা সড়ক থেকে সরে এসেছি। কিন্তু আসামি দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আমরা আবারও সড়কে নেমে যাবো।
এলাকাবাসী জানান, হত্যাকারীরা আগে থেকেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন। ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায় নি। এজন্য তারা আরও উশৃংখল হয়ে যায়। তাদের খুঁটির জোর কোথায় সেটাও খতিয়ে দেখে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা। এসময় তারা বলেন, হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে আমরা সড়কে নেমেছি।
এব্যাপারে ট্যানারী ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, সড়কে নামা সকলকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব শত্রুতার জেরে সাভারের পরিবহন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ। পরে ২২ ফেব্রুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এঘটনায় এঘটনায় ফয়সালকে প্রধান আসামিসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী পিয়ার মন বেগম।