আনোয়ার হোসেন আন্নু,সাভার:
সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের আউয়ালম মার্কেটের বিকাশের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ মিয়া (৩০) কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জোর পুর্বক ১লাখ ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তভুগী ব্যবসায়ীর মা মোসাম্মৎ রহিমা (৫০) বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ হানিফ মিয়া ভাকুর্তা ইউনিয়নের চাপরা এলাকায় আউয়াল মার্কেটে কাঁচামাল ও বিকাশের ব্যবসা করছে। উত্তর বাহিরচর থানা কেরানীগঞ্জ এলাকারবাসিন্ধা মোহাম্মদ জমির আলীর নের্তৃত্বে ১২/১৩ জন সন্ত্রসী দোকানে ডুকে মোহাম্মদ হানিফ মিয়কে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে মৃর্ত্যুর হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যবসায়ী হানিফকে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী মা মোসাম্মৎ রহিমা বলেন গত ১৫ ইংরেজি তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী মোহাম্মদ জমির আলী ৩৫ পিতা আব্দুল খালেক সাং উত্তর বাহিরচর থানা কেরানীগঞ্জ জেলা ঢাকাসহ আরো তিন-চারজন স্থান হইতে চলিয়া যায়।
এামলার বাদী এর কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:২০ ঘটিকার সময় উত্তর বাহিরচর থানা কেরানীগঞ্জ এলাকারবাসিন্ধা মোহাম্মদ জমির আলীর নের্তৃত্বে দীন মোহাম্মদ মোঃ স্বপন, মোহাম্মদ সোহেল ,মোঃ সুমন , মোঃ খোরশেদ , মোঃ আল-আমিন , আজিজুর অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ছেলের দোকানে আশিয়া উক্ত এক নাম্বার বিভাদির হাতে থাকা রামদা দিয়া আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে আমার ছেলের মাথায় ও কপালের একটু উপরে আঘাত লাগিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার ছেলে মাটিতে লুটাইয়াপড়িলে। ৪নং বিবাদী নির্দেশে অন্য নবীগণ আমার ছেলেকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি-লাথি মাড়িতে থাকে। তখন আমার ছেলে অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। উক্ত ঘটনা দেখিয়া উক্ত বিবাদী দেরকে আমার ছেলে মোস্তফা ২৮ আগাইয়া গেলে দুই নম্বর বিবাদী হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে মোস্তফার মাথায় আঘাত করে এবং অপর ছেলে মনির হোসেনকে অজ্ঞাতনামা বিবাদী গন এলোপাতাড়িভাবে কিল –ঘুষি মারতে থাকে।
তখন আমি ও আমার ছেলের বন্ধু মোঃ শুকুর আলী(২৮) পিতা বিল্লাল মিয়া সং মোগড়াকান্দা থানা সাভার জেলা ঢাকা ফিরাইতে গেলে উক্ত বিবাদী গন আমার ছেলের বন্ধু মোঃ শুকুর আলীকে দুই নম্বর বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।
ঘটনার এক পর্যায়ে উক্ত ১ও২ নম্বর বিবাদী আমাকে তাহাদের হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে।
পরবর্তীতে উক্ত ১ও ৪ নাম্বার বিভাদির নির্দেশে অন্যান্য বিবাদী গন আমার ছেলের দোকানে থাকা মালামাল ভাঙচুর করে এবং আমার ছেলে দোকানে থাকা বিকাশের ব্যবসার জন্য রাখা নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে যে, যদি এই ব্যাপারে আমরা কোন মামলা মোকদ্দমা করি তাহলে আমাদেরকে জানে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি দিয়া উক্ত স্থান হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমার ছেলে হানিফকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তাএসআই এনামুল হক জানান অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে, আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।