আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার সাভার পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারশিল্পীরা। কামার পট্টি গুলো এখন লোহা ও হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে মুখরিত। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।
অনেকে আবার বাড়িতে থাকা পুরাতন দা-বঁটি, ছুরি সান দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছেন কর্মকারদের কাছে। সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা। সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দা, বটি, ছুরি শান দেয়া ও নতুন তৈরিতে যেন দম ফেলার সুযোগ নেই কর্মকারদের।
সাভার নামাবাজার কামার পট্টিতে এসব সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে পুরোদমে। দোকানগুলোতে প্রতি পিস চাকু ১০০-৩৫০ টাকা, দা ৪০০-৯০০, জবাই ছুরি ৮০০- দেড় হাজার এবং বটি ৩০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি বিক্রি করছেন অনেকে।
এসময় কামাই-রুজি বেশী হওয়ায় কামার ও কারিগরদের মনেও বেশ আনন্দ লক্ষ্য করা যায়। কামারশিল্পী সুশিল চন্দ্র দাস বলেন, হাতুড়ী পেটানো আর আগুনের কাছে বসে থাকা অনেক কষ্টসাধ্যের কাজ তবে একটু দামে পণ্য বিক্রি করতে পারলে অনেকটা দূর হয়ে যায় তাদের সেই কষ্ট।
নতুন ছুরি ও অন্যান্য সরঞ্জামের দাম একটু বেশি হওয়ায় ঘরে থাকা পুরানোগুলোতেই শান দিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। কামারশিল্পী বাবুল দাস জানান, সারা বছর টুকটাক বেচাকেনা হলেও প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগে ভালো বেচাকেনা হয়। কুরবানির ঈদ এখনো প্রায় ৪-৫ দিন বাকি। তবে ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy