আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র্যাব-৪ এর অভিযানে সাভার মডেল থানাধীন হারুরিয়া এলাকা হতে ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ার সহ দুই জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং আশুলিয়া থানাধীন গণকবাড়ি এলাকা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল সহ ৩ জন গ্রেপ্তার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ২:৩০ ঘটিকায় সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আশুলিয়া থানাধীন ও সাভার মডেল থানাধীন হারুরিয়া এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি ২ র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ২: ৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা হারুরিয়া সাকিনস্থ আবু বক্কর সিদ্দিক এর টিনের ঘরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১: মকবুল আহমেদ ওরফে মকবুল (২৪) পিতা: আবু বক্কর সিদ্দিক, সং হারুরিয়া (ফকির বাড়ির উত্তর পাশে) থানা সাভার মডেল, জেলা ঢাকা। ২: হাফিজুর রহমান (২৬) পিতাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, নারায়নখানা গ্রাম থানাঃ কোটালীপাড়া জেলাঃ গোপালগঞ্জ এ/পি সিংগাইর নিউমার্কেট (সাজেদা ফাউন্ডেশন এর তৃতীয় তলা) থানাঃ সিংগাইর জেলা-মানিকগঞ্জদ্বয়কে ৪৩২ ক্যান বেলজিয়ান বিয়ার (১৬.৮% এলকোহল) সহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে ১ নং আসামী মোঃ মকবুল আহমেদ বিদেশি বিয়ার মজুদ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক ব্যবসা করে আসছিল, তার বিরুদ্ধে পূর্বে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
একই রাতে২১:৩০ ঘটিকায় আশুলিয়া থানাধীন গণকবাড়ি সাকিনস্থ হাসান অ্যাপার্টমেন্ট এর নিচতলায় জিয়া ড্রাগ হাউস২ এ অভিযান পরিচালনা করে ৩১৬ পিস অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল সহ ১: নাঈম ইসলাম (২১) পিতাঃ মুরাদ শেখ, সাং পিরুলি থানা- কালিয়া জেলা- নড়াইল এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস২ এর কর্মচারী, হাসান অ্যাপার্টমেন্ট গণকবাড়ি থানা- আশুলিয়া জেলা-ঢাকা ২: মোঃ আবু বক্কর (২১) পিতাঃ মোঃ আজিজ মিয়া সং- সাতমেরা থানা- নবীনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস ২ এর কর্মচারী, হাসান অ্যাপার্টমেন্ট গণকবাড়ি থানা- আশুলিয়া জেলা-ঢাকা ৩: নূরনবী(২২) পিতাঃ মোঃ মোবারক হোসেন, বন্দবেড়া থানা-রৌমারী জেলা- কুড়িগ্রাম এ/পি জিয়া ড্রাগ হাউস২ এর কর্মচারী হাসান অ্যাপার্টমেন্টস গনকবাড়ি থানা আশুলিয়া জেলা ঢাকাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীগণ বিভিন্ন জায়গা হতে এই বিয়ার ক্যান এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল আশুলিয়া সাভার এলাকায় বিক্রয় করে থাকে। উপরোক্ত বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন বলে জানান, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন আহমেদ।
এ ব্যাপারে র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমিরউদ্দিন আহমেদ জানান, র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন-র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা লগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূল লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এবং জঙ্গিবাদের মতো ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল ও রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। বর্তমানে দেশে অর্থের লোভে বিপথগামী উঠতি বয়সের যুবকরা এ ধরনের সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা, মাদক ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে এবং পেশাদার সন্ত্রাসী ও পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছে এ ধরনের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।