শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পৃথিবীর আপন সজ্জায় সজ্জিত। জীবন সংসারে দুঃখ আর অসাধ্যকে সাধন করা যেন বিজ্ঞানের যুগে মানব সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ।
ইতিহাস বলে সাংবাদিকতা হল একটি মহান পেশা। এই পেশায় জড়িত মানুষগুলো এবং গণমাধ্যম যে যার জায়গা থেকে দেশের বা রাষ্ট্রের চতুর্থ বিবেক হিসেবে কাজ করে চলেছে।
আমরা আমাদের যে যার জায়গা থেকে অনুসন্ধান মূলক সংবাদ পরিবেশন করতে পারি এবং আমরা চেষ্টা করলে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে লেখতেও পারি আর এই পেশার এটাই একটা দায়বদ্ধতা। যে কারণে বর্তমানে সাংবাদিক অনেক নেতিবাচক প্রশ্নের সম্মুখীন!
জাতির জন্য কল্যাণকর সাংবাদিকতা স্বচ্ছতা, কারো প্ররোচনায় পড়ে বা টাকার লোভে সংবাদ যেন কারো ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলে। এদিকে গণমাধ্যমে বাক স্বাধীনতা থাকবে তা অবশ্যই দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে মাতৃভূমি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বার্থে।
আজকাল পত্রিকা খুললেই দেখা যায় সাংবাদিক গাঁজা বিক্রেতা,সাংবাদিক চাঁদাবাজ, অপসাংবাদিক হলুদ সাংবাদিক আরো কত কি! তবে ক্ষেত্রে এটি সত্য যে, একজন বিবেকবান সাংবাদিক পেশা বর্তমানে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন। তবে কেন আমরা এতো প্রশ্নবিদ্ধ হবো?
আমাদের বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি সংগঠন #বিএমএসএফ"এর কর্মকান্ডে আমি সত্তিই মুগ্ধ।একটি কথা না বললেই নয়,একটি মানুষ একটি বিশাল বড় সংগঠন একটি নিবেদিত প্রাণ তার কলমে লেখা দেশের গণমাধ্যমকে সবসময় একটি সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।
সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদার লড়াই যেন তার দায়িত্ব কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে! তিনি হলেন বিএমএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ভাই।
বাংলাদেশের যে কোন জেলার যেকোনো জায়গায় নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএসএমএফ সবসময় আছে ছিল থাকবে। অবশ্য এজন্য বিএমএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক আহমদ আবু জাফর ভাই গোটা বাংলাদেশের সাংবাদিক সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সাংবাদিকতা সংবাদপত্র গণমাধ্যমকে "পহেলা মে থেকে ৭মে" পর্যন্ত গণমাধ্যম দিবস বা সাংবাদিক দিবস হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি অর্জনের জন্য বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক পাটিয়েছেন। তার আহ্বানে বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ গণমাধ্যম সহকর্মী এবং সংবাদপত্র পোর্টাল মিডিয়াগুলোকে একসাথে কাজ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
একজন শিক্ষকের কাজ যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষের মত মানুষ করে দেশের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ও জাতিকে শিক্ষাদান করা। একজন ডাক্তারের যেমন তার উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করে, ঠিক তেমনি আপনি জনকল্যাণকর সংবাদ পরিবেশন করে সংবাদ ও গণমাধ্যম এর স্বচ্ছতা তুলে ধরবেন এমটাই জাতির আশা।
সাংবাদিক অপনি জাতির বিবেক, জনগণের জন্য আপনি বিশ্লেষক, লেখক, সাংবাদিক, কবি, সমাজের সু জ ন, দেশের জন্য সত্য ন্যায়-নিষ্ঠার নির্ভুল তত্ত্ব অুনুসন্ধানি এবং প্রশ্ন বিদ্ধ হবেনা এমন লেখা পরিবেশন করতে হবে যদিও মানুষ ভুলের উর্ধে নয়।
দেশ ভাগ হওয়ার পূর্বে এবং পরে এমনকি স্বাধীনতার সময় সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমগুলো কখনোও বসে থাকে নি। যেখানে গোটা পৃথিবী করোনাই আক্রান্ত মানুষ ভয়ে বাড়ীর বাহিরে বের হতে পারেছে না সেখানে কেউ থাক আর না থাক সাংবাদিক কিন্তু রাস্তায় যেন যুদ্ধ করেই চলেছে! দেশের ক্রান্তিলগ্নে পৃথিবীর ক্লান্তিলগ্নে গণমাধ্যম কখনো থেমে নেই, সংবাদপত্র থেমে নেই,
মিডিয়াগুলোও থেমে নেই, সেইসাথে থেমে নেই ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও কি সাংবাদিকতা
খুঁজে পেয়েছে নিজের আত্মসম্মান বোধ!
গণমাধ্যম গুলো কি স্বাধীন? এই বেসামাল আভিভাবকহীন একটি সংগঠন হলো সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম বিভাগ।
অধিদপ্তর নেই ভালো বেতন
ভাতার কোন ব্যবস্থা নেই। তারপরেও ঘটে চলেছে নতুন নতুন ঘটনা! অবহেলিত এই পেশার কিছুটা মূল্যায়ন খুঁজে পাওয়া গেলেও ডিজিটাল মামলা, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি তো চলছেই। প্রবিন আর নবীন সাংবাদিকরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে কোন্দল ঘটাচ্ছে। যার জন্য একটি উপজেলাতে ১টা প্রেসক্লাব নয় ৫/৭টা প্রেসক্লাব বর্তমান!!
অথচ দেখতে গেলে দেখা যায়,প্রবীণ সাংবাদিকরা এখন পর্যন্ত অনেকই কম্পিউটার কিবোর্ড বা মোবাইলে লিখতেই জানো না!! সমস্যা আছে আরো অনেক প্রবীনদের সম্পর্কে আর ভুল ধরে আমি তাদেরকে ছোট করতে চাইনা তবে সবাই এক না।
একটি কথা না বললেই নয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সংবাদ দিবস বা সপ্তাহ পালন করা হয় কিন্তু আমাদের মতো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে তা এখনও দৃষ্টান্তমূলক ভাবে স্বীকৃত পায়নি!
একটি দেশে গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই জাতির কাছে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে দাবি জানাবো "বিএমএসএফ'র ১৪ দফা দাবি যুক্তি সংগত হলে সাংবাদিক সাংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কে বাঁচান। আপনার মাতৃছায়ার নিচে ঠাই করে দিন "বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম" সহ দেশের সকল সাংবাদিকদের।
১লা মে থেকে ৭মে পর্যন্ত গণমাধ্যম সপ্তহ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সেইসাথে সরকারি-বেসরকারি ভাবে সাংবাদিকদের বেতন ভাতা সহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
"সামাজিক দায়বদ্ধতা মূলক সাংবাদিকতা"দেশ ও জাতির উত্তরনের জন্য হোক সাংবাদিক এর কলমের লেখা"।বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামে'র ১৪ দফা দাবি সফল হোক সফল হোক। ১লা মে থেকে ৭ইমে পর্যন্ত ৫ম জাতীয় গণমাধ্যম দিবস ২০২১ সফল হোক।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy