শনিবার দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতারণায় শাহেদ করিম সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করতেন। শাহেদ তরুণীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কাজ বাগিয়ে নিত। অনেক সময় সরবরাহকারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বিল দিতেন না।
লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণির মতো অন্তত চার-পাঁচ তরুণী শাহেদের হয়ে কাজ করত। এমন অভিযোগের বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ আমরাও পেয়েছি।
এদিকে, শাহেদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অফিস দখলে রাখা, আর মাসের পর মাস ভাড়া বকেয়া রাখার অভিযোগ রয়েছে রিজেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে। মিরপুরে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে এখনো অর্ধকোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি ভবন মালিকের। আর উত্তরায় রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের ভাড়া বকেয়া রয়েছে ৮ মাসের।
উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয়ার পর রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখাও এখন বন্ধ। হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় ঝুলছে তালা। চলে গেছেন রোগীরা। শাখার প্রধান নির্বাহী রাশেদসহ অন্য কর্মকর্তারাও হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, আমরা শুরুতে ভুয়া টেস্টের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু এখন দিন যতই যাচ্ছে দেখছি অসংখ্য জঘন্য অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল শাহেদ। যাদের সঙ্গে তার ব্যবসা ছিল, তাদের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। অভিযানের পর অসংখ্য মানুষ আমাকে কল করে তার প্রতারণার ফিরিস্তি তুলে ধরছে। পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তার থেকে পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সাপ্লাই দিয়ে আর টাকা দেয়নি। সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে একজন কল করে জানিয়েছে, তার থেকে বালু এনে সাপ্লাই দিয়ে সে টাকা আর পরিশোধ করেনি। এছাড়া বিভিন্ন নিয়োগ ও বদলির কথা বলে কোটি কোটি টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিউল্লাহ বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সাধারণত এ ধরনের অভিযান পরিচালনার আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে গোয়েন্দা তদন্ত করি। এই অভিযানের আগেও আমরা টানা চার-পাঁচদিন তদন্ত করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, হাসপাতালটিতে পিসিআর মেশিন না থাকার পরেও টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। বিনিময়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। এরপর কিছু ভুয়া পরীক্ষার প্রমাণ আমরা পাই। কিছু সার্টিফিকেট আমাদের হাতে আসে সেগুলো আইইডিসিআরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। কিন্তু সেখানে এসব রিপোর্টের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। মূলত এ দু’টি অভিযোগ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও পরে তার প্রতারণা দেখে বিস্মিত হই।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy