আমাদের সমাজে অনেক ভালো মানুষ রয়েছেন। তারা নিজ চেষ্টায় দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। সর্বদা শুধু নিজের জন্য নয় তারা সমাজের অন্যের ভালোর জন্যও কাজ করেন। তাদের চিন্তা-চেতনায় থাকে সবসময় মানুষের উন্নয়ন। সারাটা জীবন কাটিয়ে দেন মানুষের কল্যাণে। সেই সকল মানুষকে আমরা আলোকিত মানুষ হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকি। সেই আলোকিত মানুষ আমাদের সমাজে খুব বেশি যে রয়েছেন তা কিন্তু নয়। হাতেগোনা যে কয়জন রয়েছেন তাদেরকেও আমরা আমাদের সংকিন্ন মনমানসিকতার কারণে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চিন্তা ও করিনা। যার ফলে অনেকই থেকে যান পর্দার আড়ালেই। এমনই একজন মানুষ যার মনের ইচ্ছা, শক্তি,সামর্থ্য এবং নিজ দায়বদ্ধতায় থেকেই দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করে থাকেন। পাঠকদের জন্য তেমনি একজন আলোকিত মানুষের গল্প তুলে ধরছি।
আজকের যুগে আমাদের সামনে হাজারো দুয়ার খোলা। চাইলেই খুঁজে পাই আকাংখিত যেকোন বই পত্রিকা। কিন্তু একজন নারীর জন্য কোন কিছুই সুলভ না। আর নারীর সম্পাদনায় একটি পত্রিকা সেতো অকল্পনীয়। এই আধুনিক যুগেই যখন নারীরা নিগ্রহের শিকার হোন তখন কেবলই ভাবি একজন ফারহানা বেগম কতটা সাহসী হলে এই সাহসী কিন্তু দুর্গম পেশায় নিজেকে নিবেদন করেছেন।
সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা,সাংবাদিকতার পথ চলা মোটেই মসৃণ নয়। পদে পদে বিপদ আর জীবন ঝুঁকি নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের সাথে থেকে কাজ করা যেখানে একজন পুরুষের জন্যই কঠিন হয়ে দাড়ায় তখন একজন নারী হয়ে এই পথে চলা সত্যি কঠিন বিষয়।
আর আমাদের সমাজ ও পরিবার পরিবেশ নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের অনুকূল নয়। এ প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করার জন্য প্রয়োজন প্রচন্ড মানসিক জোর। ফারহানা বেগম হেনা এ সব অন্তরায় অতিক্রম করেছেন নিজের মনোবল ও পারিবারিক সহযোগিতায়। নারীদের অবরোধে রাখা আমাদের যুগের সামাজিক রীতি এবং সে পরিবেশেই আবদ্ধ থাকাটাই যেন নারীদের কাছে স্বাভাবিক। কিন্তু ফারহানা বেগম হেনা’র পারিবারিক পরিবেশ নারীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সহায়ক।
২০২১ সালে এসেও আমরা কিন্তু নারীদের তার যোগ্যতম স্থানটি দিতে পারছি না। পারছিনা তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে। নারীরা যতোই ভালো কাজ কারুক না কেনও কখনো ই তাদের কাজের জন্য বাহবাহ তো দূরের কথা আমরা চাই তারা যেনো নিবৃত্তেই থাকুক। আমরা মুখে তো বলিই এই সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কে ও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে কিন্তু বাস্তবতা এর পুরোটাই উল্টো। যদি তা নাই হতো তা হলে আজকে আমাদের অনেক নারীই মূল্যায়িত হতো তার কাজের মাধ্যমে। যখন আপনি, আমি কোন কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ কোন সম্মাননা পাই বা মূল্যায়িত হই তখন আমাদের যেমন কাজের দায়-দায়িত্ব বেড়ে যায় এবং ভালো ভালো কাজ করার আগ্রহ আমাদের মাঝে চেপে বসে ঠিক তেমনি একজন নারীকে ও যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করতে পারলে তারও কাজের আগ্রহ বেড়ে যেতো। আমরা একজন নারী কর্মীকে দিয়ে তো কাজ আদায় করে থাকি কিন্তু সেই কাজের জন্য তাকে বাহবাহ তো দূরের কথা ধন্যবাদ টুকুও দিতে নারাজ। আমরা এতোটাই সংকিন্ন মনমানসিকতা নিয়ে কি করে একজন নারী কর্মী থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারি।
আধুনিক সাহিত্যে আজ অনেক লেখকের আনাগোনা। আজ আমাদের সমাজে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী সাংবাদিকও আছেন,কিন্তু কয়েকজন নারী সাংবাদিক তার যথাযথ সম্মান পেয়েছেন আপনার,আমার কাছ থেকে। কয়জন নারী সাংবাদিকের কথা আমরা তুলে ধরেছি আমাদের লিখনির মাধ্যমে। কয়েকজন নারী সাংবাদিককে আমরা পেরেছি তাদের কাজের মূলযায়ন দিতে। আমরাই আমাদের সংকিন্ন মনমানসিকতার কারণে তাঁদেরকে পিছিয়ে রেখেছি সব সময়। আজও বেড়িয়ে আসতে পারিনি আমাদের সংকিন্ন মনমানসিকতা থেকে।
কিন্তু চিন্তা করে দেখুন কয়জন নারী আছেন যারা সাংবাদিক পদে চাকরীর বাইরে নিজেকে প্রকৃত সাংবাদিক পরিচয়ে জন্ম দিতে পেরেছেন? এত হাজারো পত্রিকা, চ্যানেলের ভিড়ে এমন অনেক অনলাইন দৈনিক আছে যার পরিচালনায় এবং সম্পাদনায় নারী অধিস্টিত আছেন। কিন্তু আমরা ক’জনের কথা জানি ক’জনকে আমরা চিনি জানি বা ক’জনকে আমরা আমাদের লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছি। ক’জন নারী সাংবাদিক কে আমরা তাদের যথাযথ সম্মান দিতে পেরেছি। আবার
এমব কোন অনলাইন দৈনিক কি আছে যা সদ্য লিখতে শিখা আরেকটি প্রজন্মকে তৈরী করবে? তবে হা ফারহানা বেগম হেনা পরিচালিত ডেইলি বিডি নিউজ ডটনেটের মাধ্যমে অনেক নতুন ও তরুণরা তাদের লিখনির মাধ্যমে উঠে এসেছেন এবং বর্তমানে ভালো পর্যায়ের সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজও করছেন তারা।
এতসব প্রশ্নের উত্তরে একটা নামই মনে আসে,আর তা হলো ডেইলি বিডি নিউজ ডট নেট,আর এর সম্পাদনায় রয়েছেন একজন নারী সাংবাদিক-ফারহানা বেগম হেনা। যার মাধ্যমে সদ্য লেখালেখিতে হাত পাকানো ছেলেমেয়েরা পায় সামনে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা। আর এই ছেলেমেয়েদের মাধ্যমেই আসবে একটি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান প্রজন্ম। অনুপ্রেরণা ও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে এমন ক’জন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় আমাদের সমাজে।